বৈঠক ইতিবাচক, আজ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে যা জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা
বৈঠক থেকে ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
'কোনও উত্তর পেলাম না'... ধর্ষণ বিরোধী আইন চেয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী'কে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর মমতার
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে পাশবিক অত্যাচার করে নৃশংস খুনের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আরজিকর সহ কলকাতার একাধিক হাসপাতালগুলিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ফলে বন্ধ জরুরি পরিষেবা। ভোগান্তিতে রোগীরা।
এদিকে নৃশংস খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে একাধিক ক্ষত পাওয়া গেছে, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ‘পেরিমর্টম’। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। ‘পেরিমর্টম’ অর্থাৎ জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ে ধর্ষণ! অর্থাৎ নির্যাতিতাকে জীবন ও মৃত্যুর মাঝে, যে সময়ে তাঁর অঙ্গ কার্যত কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল, সেই সময়েই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আঘাত মূলত তিন ধরনের হয়। 'অ্যান্টিমর্টম', অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় আঘাত, 'পোস্টমর্টম', অর্থাৎ মৃত্যুর পর শরীরে আঘাত, আর 'পেরিমর্টম' জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি সময়ে আঘাত।
ঘটনা সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশি জেরায় সে দোষের কথা স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েও তার মুখে অনুতাপের লেশমাত্র নেই, উলটে সে দৃঢ় কণ্ঠে জানাচ্ছে 'ফাঁসি দিলে দিন'।
এদিকে ভাইয়ের এই ধরনের কর্ম কাণ্ডে বীতশ্রদ্ধ তার কলকাতা পুলিশে কর্মরতা দিদি। সাংবাদিকদের সঞ্জয় রায়ের দিদি জানান, ওর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আমাদের নেই। সারাদিন মদ্যপান করত। কিছু বললে শুনত না। নিজের মর্জি মতো জীবন কাটাত। আমরা দুই বোন মিলে মায়ের দেখাশোনা করি। ওর ফাঁসি দিলে আমাদের কাছে দেহ পাঠাবেন না বলে অনুরোধ করেন দিদি।
পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃত বিকৃত মানসিকতার। কারণ যে ধরনের পর্ন সে দেখত, তা সচরাচর লোকে দেখেন না। তদন্তকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটত। কারণ নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও পূর্ব পরিচিত বা ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না।
সিসিটিভি ফুটেজে গেছে, ভোর ৪.৪৫ নাগাদ ধৃত সেমিনার রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সঞ্জয়। এরপর আবার মদ্যপান করে সে। তারপর ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পুলিশ তাঁকে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকেই গ্রেফতার করে। যখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তখনও সে পুরোপুরোই নেশাগ্রস্ত ।
তবে এই কুকীর্তিতে ধৃত সঞ্জয় রায় একাই ছিল নাকি তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।