দল চাইলে নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হতে রাজি অভিষেক
- আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 24
তৃণমূল নেতৃত্ব চাইলে নন্দীগ্রামে ভোটে লড়তে সম্পূর্ণ প্রস্তুত,সোমবার এমন স্পষ্ট ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহেশতলায় সেবাশ্রয়–২ স্বাস্থ্য শিবিরের উদ্বোধনে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও রাখঢাক না করেই অভিষেক জানান, “দল যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে বলে, দাঁড়াব। দার্জিলিংয়ে দাঁড়াতে বললেও দাঁড়াব। দল যেখানে কাজে লাগাবে, সেখানেই কাজ করব।”
সুকান্ত মজুমদার কয়েক দিন আগে দাবি করেছিলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম থেকেই দাঁড়াতে পারেন অভিষেক। তার উত্তরে অভিষেকের কটাক্ষ, “সেটা হয়তো সুকান্তবাবুর মনের সুপ্ত বাসনা। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে মাথা ঘামাতে হবে না। তিনি যদি এতই পারদর্শী হতেন, আট হাজার ভোটে জিততে হতো না।”
অভিষেকের এই খোলামেলা মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে—তৃণমূল কি তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে তাকে নামাতে পারে? প্রশ্ন উঠতেই নন্দীগ্রামের বর্তমান বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর জবাব, “এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। শুধু বলব—এখানে বিজেপিই জিতবে। এখানে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছে। তৃণমূলের আর কোনও শক্ত প্রার্থী নেই।”
সুকান্তের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে শুভেন্দু বলেন, তিনি সহকর্মীদের মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেন না। দলের ভিতরেই মতবিনিময় হয়, প্রকাশ্যে নয়—এমনটাই জানিয়ে দেন তিনি।
তৃণমূলের একাংশের মূল্যায়ন, গত এক দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন, অভিষেক তেমনভাবেই তা পালন করেছেন—সাংগঠনিক কাজ থেকে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব পর্যন্ত। ফলে যদি আগামী দিনে দল তাকে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বলে, সেটিই পালন করবেন—এমনই সংকেত দিয়েছেন তিনি। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে একই মন্তব্য করেছেন অভিষেক—“দল যে নির্দেশ দেবে, সেই পথই অনুসরণ করব।”
নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূল–বিজেপির বাকযুদ্ধ তীব্র হওয়ায় রাজনৈতিক পারদ ফের চড়ছে দক্ষিণবঙ্গে।

















