০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমতে বিয়ে, পরিবারের কলঙ্ক বলে জীবিত মেয়েকে মৃত ঘোষণা পরিবারের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
  • / 116

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের পছন্দের যুবককে বিয়ে করেন যুবতী। মানসম্মান ধূলিসাৎ করায় কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হলেন না পরিবার। জীবিত মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে বড় সাধ্যনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন যুবতীর বাবা-মা।

 

আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পেলেন ওড়িশায় আটক ৫০ জন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক

জানা গিয়েছে, ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার আউল থানার দেমাল গ্রামের মুনা মল্লিকের মেয়ে ২০ বছর বয়সী দীপাঞ্জলি। পরিবারের অমতে নিজের পছন্দের ২৩ বছর বয়সী রাজেন্দ্র মল্লিককে বিয়ে করেন যুবতী। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে ২৮ অগাস্ট স্থানীয় এক মন্দিরে বিয়ে করেন দীপা-রাজেন্দ্র জুটি। যদিও পরিবার মনে করেছিল, মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপহরণের অভিযোগ তুলে স্থানীয় থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন মেয়ে নিজ ইচ্ছেয় পছন্দের যুবককে বিয়ে করেছেন। যুবতির বাবা বলেন,মেয়ে পরিবারের জন্য কলঙ্ক। আমরা মেয়ের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছি’।

আরও পড়ুন: যুবতীকে ত্রিশ টুকরো করে কেটে খুন ওড়িশায়

 

আরও পড়ুন: ওড়িশার রায়গড়া উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় চিকিৎসায় পরিষেবায় চালু ড্রোন

মুনা মল্লিক আরও বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ভালো প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেব। কিন্তু মেয়ে পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছে। আমাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্খা ভেঙ্গে দিয়েছে। তাই আমরা মেয়ের মুখ দেখতে চাই না, মেয়ে আমাদের কাছে মৃত। শেষকৃত্য করা হয়েছে। আমরাপিন্ড দানএবংদশাহা ভোজিকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।

 

এদিকে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন দীপাঞ্জলি। তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। আমার অধিকার রয়েছে উপযুক্ত ছেলে বেছে নেওয়ার। তাছাড়া বাবামা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য যুবকের সাথে বিয়ে ঠিক করছিল। তাই আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে’। তবে রাজেন্দ্রর পরিবার এই বিয়েতে খুশি। রাজেন্দ্রর বাবা অনন্ত মল্লিক বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো পাপ করেনি। আমরা দীপাঞ্জলিকে আমাদের পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করেছি’।

 

এক মানবাধিকার কর্মী অমরবারা বিসওয়াল বলেন, ‘দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করে তাঁর শেষকৃত্য করার অধিকার নেই পরিবারের। তাঁরা মেয়েটির মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে’।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অমতে বিয়ে, পরিবারের কলঙ্ক বলে জীবিত মেয়েকে মৃত ঘোষণা পরিবারের

আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের পছন্দের যুবককে বিয়ে করেন যুবতী। মানসম্মান ধূলিসাৎ করায় কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হলেন না পরিবার। জীবিত মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে বড় সাধ্যনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন যুবতীর বাবা-মা।

 

আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পেলেন ওড়িশায় আটক ৫০ জন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক

জানা গিয়েছে, ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার আউল থানার দেমাল গ্রামের মুনা মল্লিকের মেয়ে ২০ বছর বয়সী দীপাঞ্জলি। পরিবারের অমতে নিজের পছন্দের ২৩ বছর বয়সী রাজেন্দ্র মল্লিককে বিয়ে করেন যুবতী। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে ২৮ অগাস্ট স্থানীয় এক মন্দিরে বিয়ে করেন দীপা-রাজেন্দ্র জুটি। যদিও পরিবার মনে করেছিল, মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপহরণের অভিযোগ তুলে স্থানীয় থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন মেয়ে নিজ ইচ্ছেয় পছন্দের যুবককে বিয়ে করেছেন। যুবতির বাবা বলেন,মেয়ে পরিবারের জন্য কলঙ্ক। আমরা মেয়ের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছি’।

আরও পড়ুন: যুবতীকে ত্রিশ টুকরো করে কেটে খুন ওড়িশায়

 

আরও পড়ুন: ওড়িশার রায়গড়া উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় চিকিৎসায় পরিষেবায় চালু ড্রোন

মুনা মল্লিক আরও বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ভালো প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেব। কিন্তু মেয়ে পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছে। আমাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্খা ভেঙ্গে দিয়েছে। তাই আমরা মেয়ের মুখ দেখতে চাই না, মেয়ে আমাদের কাছে মৃত। শেষকৃত্য করা হয়েছে। আমরাপিন্ড দানএবংদশাহা ভোজিকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।

 

এদিকে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন দীপাঞ্জলি। তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। আমার অধিকার রয়েছে উপযুক্ত ছেলে বেছে নেওয়ার। তাছাড়া বাবামা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য যুবকের সাথে বিয়ে ঠিক করছিল। তাই আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে’। তবে রাজেন্দ্রর পরিবার এই বিয়েতে খুশি। রাজেন্দ্রর বাবা অনন্ত মল্লিক বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো পাপ করেনি। আমরা দীপাঞ্জলিকে আমাদের পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করেছি’।

 

এক মানবাধিকার কর্মী অমরবারা বিসওয়াল বলেন, ‘দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করে তাঁর শেষকৃত্য করার অধিকার নেই পরিবারের। তাঁরা মেয়েটির মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে’।