বাবা কর্তৃক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা: আসানসোল আদালতের ঐতিহাসিক রায়

- আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 54
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এক মর্মস্পর্শী ও নৃশংস অপরাধের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলো আসানসোলের আদালতে। নিজের নাবালিকা মেয়েকে মাদকজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক। এই রায়কে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ ঘটনা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত বছরের ১৩ই মে, ২০২৪ তারিখে, আসানসোলের হিরাপুর থানার নরসিংবাঁধ এলাকায়। ওইদিন সকালে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে এক তীব্র চিৎকার শোনা যায়। তার স্ত্রী প্রতিবেশীদের জানান, বড় মেয়ের গলায় কালশিটে দাগ এবং চোখ-কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। অভিযুক্ত স্বামী মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিবেশীদের সহায়তায় মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা নাবালিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় ১৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ খতিয়ে দেখে আসানসোল আদালতের বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
আজ, বুধবার, এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হয়। সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, মাত্র এক বছর তিন মাসের মধ্যেই এই নৃশংস ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতে একটি নজির হিসেবে বিবেচিত হবে। এই রায় সমাজের প্রতি একটি কঠোর বার্তা দেয় যে, এমন জঘন্য অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই।
ঘটনার স্থান ছিল হিরাপুর থানার নরসিংবাঁধ, আসানসোল। ঘটনাটি ঘটে ১৩ই মে, ২০২৪।
অভিযোগ ছিল নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা। রায়ে আসানসোল আদালতের বিচারক কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড হয়।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং একাধিক প্রমাণের দ্বারা।