০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের উপর ৫০% শুল্ক: সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহ নেই আমেরিকার

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 34

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আপাতত কোনও আলোচনা করতে নারাজ আমেরিকা, যতক্ষণ না শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যা মিটছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “যতক্ষণ না এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না।”

 

 

আরও পড়ুন: বিদেশনীতির ব্যর্থতায় ৫০ শতাংশ শুল্ক, মোদিকে কটাক্ষ মল্লিকার্জুন খারগের

ট্রাম্প বুধবার ভারতের পণ্যের উপর আরও ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে আগামী ২৭ অগস্ট থেকে ভারতের রফতানি পণ্যে মোট ৫০% শুল্ক দিতে হবে আমেরিকায় প্রবেশের আগে। উল্লেখ্য, এর আগেই ২৫% শুল্ক কার্যকর হয়েছিল। নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর ভারত, ব্রাজিলের সঙ্গে আমেরিকার সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপিত দেশগুলির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিহার: ডোনাল্ড ট্রাম্পের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট চেয়ে আবেদন

 

আরও পড়ুন: শীঘ্রই ভারতে আসবেন পুতিন

 

ট্রাম্পের দাবি, ভারত এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের আর্থিক জোগান হিসেবে মস্কোর কাজে লাগছে। এই কারণেই ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ভারত সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখেই দেশের বাণিজ্যনীতি নির্ধারিত হয়। সস্তায় তেল পাওয়া গেলে তা আমদানি করাই স্বাভাবিক পদক্ষেপ। রাশিয়ার সস্তা তেল কিনে ভারতের অর্থনীতি চাঙা হচ্ছে বলেই সেই পথে হাঁটছে নয়াদিল্লি।

 

 

এই আবহে বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে ভারত কখনও আপস করবে না।” তিনি আরও জানান, “এই অবস্থানের জন্য আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চড়া মূল্য দিতে হলেও, আমি প্রস্তুত।”

 

এখনও পর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার মধ্যে পাঁচ দফায় বাণিজ্য আলোচনা হয়েছে। দুই দেশ একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির মাধ্যমে সমঝোতা চূড়ান্ত করতে চাইছে। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ভারত সফরে আসবে বলে সূত্রের খবর।

 

আমেরিকা চাইছে ভারত যেন কৃষিপণ্য, দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রীর বাজার সম্পূর্ণভাবে তাদের জন্য খুলে দেয়। কিন্তু নয়াদিল্লি এই একপাক্ষিক সুবিধাপ্রাপ্তির প্রস্তাবে সায় দিতে নারাজ। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও তাড়াহুড়োয় বাণিজ্য চুক্তি করতে রাজি নয়।

 

 

শুল্ক বিতর্কের কারণে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি আপাতত অনিশ্চয়তার মুখে। দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের আলোচনা কতদূর এগোয়, তা নির্ভর করছে এই সমস্যার সমাধানের উপর। এরই মধ্যে ৫০% শুল্কের ধাক্কায় আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি অনেকটাই চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বাণিজ্য মহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতের উপর ৫০% শুল্ক: সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহ নেই আমেরিকার

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আপাতত কোনও আলোচনা করতে নারাজ আমেরিকা, যতক্ষণ না শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যা মিটছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “যতক্ষণ না এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না।”

 

 

আরও পড়ুন: বিদেশনীতির ব্যর্থতায় ৫০ শতাংশ শুল্ক, মোদিকে কটাক্ষ মল্লিকার্জুন খারগের

ট্রাম্প বুধবার ভারতের পণ্যের উপর আরও ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে আগামী ২৭ অগস্ট থেকে ভারতের রফতানি পণ্যে মোট ৫০% শুল্ক দিতে হবে আমেরিকায় প্রবেশের আগে। উল্লেখ্য, এর আগেই ২৫% শুল্ক কার্যকর হয়েছিল। নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর ভারত, ব্রাজিলের সঙ্গে আমেরিকার সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপিত দেশগুলির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিহার: ডোনাল্ড ট্রাম্পের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট চেয়ে আবেদন

 

আরও পড়ুন: শীঘ্রই ভারতে আসবেন পুতিন

 

ট্রাম্পের দাবি, ভারত এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের আর্থিক জোগান হিসেবে মস্কোর কাজে লাগছে। এই কারণেই ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ভারত সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখেই দেশের বাণিজ্যনীতি নির্ধারিত হয়। সস্তায় তেল পাওয়া গেলে তা আমদানি করাই স্বাভাবিক পদক্ষেপ। রাশিয়ার সস্তা তেল কিনে ভারতের অর্থনীতি চাঙা হচ্ছে বলেই সেই পথে হাঁটছে নয়াদিল্লি।

 

 

এই আবহে বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে ভারত কখনও আপস করবে না।” তিনি আরও জানান, “এই অবস্থানের জন্য আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চড়া মূল্য দিতে হলেও, আমি প্রস্তুত।”

 

এখনও পর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার মধ্যে পাঁচ দফায় বাণিজ্য আলোচনা হয়েছে। দুই দেশ একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির মাধ্যমে সমঝোতা চূড়ান্ত করতে চাইছে। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ভারত সফরে আসবে বলে সূত্রের খবর।

 

আমেরিকা চাইছে ভারত যেন কৃষিপণ্য, দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রীর বাজার সম্পূর্ণভাবে তাদের জন্য খুলে দেয়। কিন্তু নয়াদিল্লি এই একপাক্ষিক সুবিধাপ্রাপ্তির প্রস্তাবে সায় দিতে নারাজ। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও তাড়াহুড়োয় বাণিজ্য চুক্তি করতে রাজি নয়।

 

 

শুল্ক বিতর্কের কারণে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি আপাতত অনিশ্চয়তার মুখে। দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের আলোচনা কতদূর এগোয়, তা নির্ভর করছে এই সমস্যার সমাধানের উপর। এরই মধ্যে ৫০% শুল্কের ধাক্কায় আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি অনেকটাই চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বাণিজ্য মহল।