২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটার পিছু ৮০ টাকায় নাম বাদ! কর্নাটকে সিট রিপোর্টে রাহুলের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 127

কর্নাটকে ভোটার তালিকা সংশোধনে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। কংগ্রেস নেতা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (SIT) জানিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য প্রতি ভোটারের পিছু ৮০ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। শুধু একটি বিধানসভা কেন্দ্রেই ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক মহলের নির্দেশে কংগ্রেসপন্থী ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেন, ভোটার নাম বাতিলের জন্য ভিন রাজ্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে বিপুল আবেদন জমা পড়েছিল।

যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেনি, কর্নাটক সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। SIT তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাহুলের উল্লিখিত আলন্দ বিধানসভা আসনে ৬,০১৮টি ভুয়া আবেদন জমা পড়েছিল, যার ফলে বৈধ ভোটারদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নিযুক্ত কিছু সরকারি কর্মচারী ও অফিসারই এই অনিয়মে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রতি ভোটারের জন্য নির্দিষ্ট হারে অর্থ নেওয়া হতো।

রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার অপরাধমূলক মামলা ও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার কথা ভাবছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছেও বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানানো হবে।

রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, “রাহুল গান্ধীর সতর্কবার্তাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে, ভোটার তালিকা নিয়ে বিজেপি প্রশাসনিক অপব্যবহার করেছে।” অন্যদিকে, বিজেপি এই অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভোটার পিছু ৮০ টাকায় নাম বাদ! কর্নাটকে সিট রিপোর্টে রাহুলের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

কর্নাটকে ভোটার তালিকা সংশোধনে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। কংগ্রেস নেতা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (SIT) জানিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য প্রতি ভোটারের পিছু ৮০ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। শুধু একটি বিধানসভা কেন্দ্রেই ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক মহলের নির্দেশে কংগ্রেসপন্থী ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেন, ভোটার নাম বাতিলের জন্য ভিন রাজ্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে বিপুল আবেদন জমা পড়েছিল।

যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেনি, কর্নাটক সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। SIT তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাহুলের উল্লিখিত আলন্দ বিধানসভা আসনে ৬,০১৮টি ভুয়া আবেদন জমা পড়েছিল, যার ফলে বৈধ ভোটারদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নিযুক্ত কিছু সরকারি কর্মচারী ও অফিসারই এই অনিয়মে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রতি ভোটারের জন্য নির্দিষ্ট হারে অর্থ নেওয়া হতো।

রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার অপরাধমূলক মামলা ও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার কথা ভাবছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছেও বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানানো হবে।

রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, “রাহুল গান্ধীর সতর্কবার্তাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে, ভোটার তালিকা নিয়ে বিজেপি প্রশাসনিক অপব্যবহার করেছে।” অন্যদিকে, বিজেপি এই অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে।