মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা: প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ সাত জনকে বেকসুর খালাস করল এনআইএ আদালত

- আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 49
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ মোট সাত জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক একে লাহোটি রায় ঘোষণা করে বলেন, “কোনও ঘটনার ভয়াবহতা যতই গুরুতর হোক না কেন, কেবল নৈতিকতার ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। সন্দেহের বশে কাউকে শাস্তি দেওয়া আইনসম্মত নয়।”
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয় ও আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। তদন্তে উঠে আসে, শহরের এক কবরস্থানে রাখা একটি মোটরসাইকেলে লাগানো দু’টি বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।
শুরুতে ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS)। তাঁদের তদন্তে উঠে আসে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের জড়িত থাকার প্রমাণ। সেই সূত্রেই গ্রেফতার হন সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ও প্রাক্তন সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত। তাঁরা অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পরে জামিনে মুক্ত হন।
২০১১ সালে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)-র হাতে। তদন্তের ভিত্তিতে একাধিক চার্জশিট ও পরবর্তী অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দেয় এনআইএ। ২০১৮ সালে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ গঠন করা হয়। বিচারপর্বে ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এনআইএ আদালতে কয়েকশো পাতার প্রমাণপত্র পেশ করে। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। অবশেষে ৩১ জুলাই বিচারক একে লাহোটি রায় ঘোষণা করেন। আদালত জানায়, মামলায় দাখিল হওয়া তথ্যপ্রমাণ সন্দেহাতীত নয়, তাই কোনও অভিযুক্তকে সাজা দেওয়া আইনের পরিপন্থী হবে।
এই রায়ে স্বস্তিতে অভিযুক্তেরা, যদিও বিস্ফোরণে প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলির তরফে গভীর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।