০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে প্রতি ন’জনের মধ্যে ১ জন হতে পারে ক্যান্সার আক্রান্ত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 65

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ২০২০-র তুলনায় ২০২৫ সালে দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে ১২.৮ শতাংশ। এমনই উদ্বেগজনক রিপোর্ট প্রকাশ পেল আইসিএমআর-এর সমীক্ষায়। আইসিএমআর-ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ ইনফরমেটিকস অ্যান্ড রিসার্চের (এনসিডিআইআর) সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে দেশের প্রতি ন’জনের একজন হতে পারে ক্যান্সারের শিকার। নতুনভাবে আক্রান্তের সংখ্যা এবং জনসংখ্যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সংখ্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: কেমো ছাড়াই ক্যানসার কোষকে সুস্থ কোষে রূপান্তর: দক্ষিণ কোরিয়ার যুগান্তকারী আবিষ্কার

ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইজেএমআর) প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি ৬৭ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং প্রতি ২৯ জন মহিলার ১ জনের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রবল। ২০২২ সালে ভারতে ১৪.৬ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারের শিকার। পুরুষদের ফুসফুস এবং মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শৈশবকালীন ক্যান্সারে লিম্ফো লিউকোমিয়ায় (পুরুষ ২৯.২ শতাংশ এবং মহিলা ২৪.২ শতাংশ) আক্রান্তের প্রবণতা বেশি।

আরও পড়ুন: জুন থেকেই রোবোটিক সার্জারি চালু হচ্ছে এসএসকেএমে 

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

২০২০ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত ১২.৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে অনুমান। জনসংখ্যার গতিশীলতা পরিবর্তন এবং এর বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সারের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গবেষকদের ধারণা। গবেষকদের আরও দাবি দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা (৬০+) সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়বে, বিশেষ করে ২০১১-র তুলনায় ২০২২ ৯.৭ শতাংশ বাড়বে। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে আমাদের দেশে এইচপিবি (হিউম্যান পেপিলোমাওয়রস) ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে, যা আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসেই সহজলভ্য হবে বলে জানা গিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, আনুমানিক ক্যান্সারের ঘটনা পরিবর্তিত হবে।

 

রোগ নির্ণয়ে উন্নতি, স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের সূচনা, ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং নির্ণয়ের কৌশল এই বিষয়গুলির উপর নির্ভর করবে আগামীতে ক্যান্সারের গতিপ্রকৃতি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া মঙ্গলবার রাজ্যসভা জানান, ২০২০-২২ সালের মধ্যে ক্যান্সার এবং এর কারণে মৃত্যুর হার আনুমানিক বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ  জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ক্যান্সার, মধুমেয়, হৃদরোগ  এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয়  কর্মসূচির অধীনে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলিকে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশে প্রতি ন’জনের মধ্যে ১ জন হতে পারে ক্যান্সার আক্রান্ত

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ২০২০-র তুলনায় ২০২৫ সালে দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে ১২.৮ শতাংশ। এমনই উদ্বেগজনক রিপোর্ট প্রকাশ পেল আইসিএমআর-এর সমীক্ষায়। আইসিএমআর-ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ ইনফরমেটিকস অ্যান্ড রিসার্চের (এনসিডিআইআর) সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে দেশের প্রতি ন’জনের একজন হতে পারে ক্যান্সারের শিকার। নতুনভাবে আক্রান্তের সংখ্যা এবং জনসংখ্যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সংখ্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: কেমো ছাড়াই ক্যানসার কোষকে সুস্থ কোষে রূপান্তর: দক্ষিণ কোরিয়ার যুগান্তকারী আবিষ্কার

ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইজেএমআর) প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি ৬৭ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং প্রতি ২৯ জন মহিলার ১ জনের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রবল। ২০২২ সালে ভারতে ১৪.৬ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারের শিকার। পুরুষদের ফুসফুস এবং মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শৈশবকালীন ক্যান্সারে লিম্ফো লিউকোমিয়ায় (পুরুষ ২৯.২ শতাংশ এবং মহিলা ২৪.২ শতাংশ) আক্রান্তের প্রবণতা বেশি।

আরও পড়ুন: জুন থেকেই রোবোটিক সার্জারি চালু হচ্ছে এসএসকেএমে 

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

২০২০ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত ১২.৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে অনুমান। জনসংখ্যার গতিশীলতা পরিবর্তন এবং এর বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সারের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গবেষকদের ধারণা। গবেষকদের আরও দাবি দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা (৬০+) সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়বে, বিশেষ করে ২০১১-র তুলনায় ২০২২ ৯.৭ শতাংশ বাড়বে। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার রুখতে আমাদের দেশে এইচপিবি (হিউম্যান পেপিলোমাওয়রস) ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে, যা আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসেই সহজলভ্য হবে বলে জানা গিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, আনুমানিক ক্যান্সারের ঘটনা পরিবর্তিত হবে।

 

রোগ নির্ণয়ে উন্নতি, স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের সূচনা, ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং নির্ণয়ের কৌশল এই বিষয়গুলির উপর নির্ভর করবে আগামীতে ক্যান্সারের গতিপ্রকৃতি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া মঙ্গলবার রাজ্যসভা জানান, ২০২০-২২ সালের মধ্যে ক্যান্সার এবং এর কারণে মৃত্যুর হার আনুমানিক বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ  জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ক্যান্সার, মধুমেয়, হৃদরোগ  এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয়  কর্মসূচির অধীনে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলিকে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেয়।