০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি উদ্যোগে চালুর পথে ১২০০ সিএনজি বাস, ড্রাইভার সংকটের আশঙ্কা শহরতলিতে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 25

আসিফ রেজা আনসারীঃ নিত্যপণ্যের মতো প্রতিদিনই দাম বাড়ছে জ্বালানি তেলের। স্বাভাবিকভাবেই তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবহণ শিল্পের উপর। সেই জায়গা থেকে এই শিল্পকে বাঁচাতে বিকল্প পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। বিকল্প হিসাবে কমপ্রেস্ড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি দিয়ে বাস চালানো শুরু হয়েছে। একইভাবে ব্যাটারি চালিত বাসের দিকেও ঝুঁকছে সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে নতুন করে ১২০০ সিএনজি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু করতে চলেছে রাজ্য। সরকারের নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অন্য এক আশঙ্কায় রয়েছেন বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। তাদের আশঙ্কা বাস চালানোর জন্য ড্রাইভারের সংকট দেখা দেবে।

বেসরকারি বাস মালিকরা মনে করছেন, ড্রাইভারের সংকট দেখা দিলে তার প্রভাব পড়বে বেসরকারি পরিবহণের উপর। বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের বক্তব্য, সরকারের তরফে ড্রাইভার বা গাড়িচালক তৈরির কোনও উদ্যোগ নেই। তারপরও সরকার রুট থেকে বেসরকারি চালকদের নিজেদের কাজে নিযুক্ত করে। ফলে বেসরকারি মালিকরা ড্রাইভারের সংকটে পড়েন। সরকার একলপ্তে অনেক বাস নামাতে চলেছে, তাই বাসচালকের একটা সংকট দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছেন পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।

আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

কেন তারা মনে করছেন ড্রাইভারের সমস্যা হবে? এ নিয়ে সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, সরকারিভাবে ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার তৈরি করা হয় না। আমাদের থেকেই সরকার প্রয়োজন অনুসারে ড্রাইভার তুলে নেয়। ফলে অন্যদিকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। একজনকে বাসচালক হতে গেলে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় নকল ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছেন। ফলে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি আরও বলেন, এই সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতির সরলীকরণ করা দরকার বলেও মনে করছেন টিটো সাহা। অন্য সংগঠনের বক্তব্যও এক।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

এ নিয়ে রাজ্য পরিবহণ ডাইরেক্টর দিব্যেন্দু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, তাঁরা বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন। যাতে কোনও সমস্যা না থাকে, তার দিকে নজর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরকারি উদ্যোগে চালুর পথে ১২০০ সিএনজি বাস, ড্রাইভার সংকটের আশঙ্কা শহরতলিতে

আপডেট : ২৪ মে ২০২২, মঙ্গলবার

আসিফ রেজা আনসারীঃ নিত্যপণ্যের মতো প্রতিদিনই দাম বাড়ছে জ্বালানি তেলের। স্বাভাবিকভাবেই তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবহণ শিল্পের উপর। সেই জায়গা থেকে এই শিল্পকে বাঁচাতে বিকল্প পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। বিকল্প হিসাবে কমপ্রেস্ড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি দিয়ে বাস চালানো শুরু হয়েছে। একইভাবে ব্যাটারি চালিত বাসের দিকেও ঝুঁকছে সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে নতুন করে ১২০০ সিএনজি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু করতে চলেছে রাজ্য। সরকারের নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অন্য এক আশঙ্কায় রয়েছেন বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। তাদের আশঙ্কা বাস চালানোর জন্য ড্রাইভারের সংকট দেখা দেবে।

বেসরকারি বাস মালিকরা মনে করছেন, ড্রাইভারের সংকট দেখা দিলে তার প্রভাব পড়বে বেসরকারি পরিবহণের উপর। বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের বক্তব্য, সরকারের তরফে ড্রাইভার বা গাড়িচালক তৈরির কোনও উদ্যোগ নেই। তারপরও সরকার রুট থেকে বেসরকারি চালকদের নিজেদের কাজে নিযুক্ত করে। ফলে বেসরকারি মালিকরা ড্রাইভারের সংকটে পড়েন। সরকার একলপ্তে অনেক বাস নামাতে চলেছে, তাই বাসচালকের একটা সংকট দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছেন পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।

আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপে শুরু হচ্ছে আবেদন

কেন তারা মনে করছেন ড্রাইভারের সমস্যা হবে? এ নিয়ে সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, সরকারিভাবে ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার তৈরি করা হয় না। আমাদের থেকেই সরকার প্রয়োজন অনুসারে ড্রাইভার তুলে নেয়। ফলে অন্যদিকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। একজনকে বাসচালক হতে গেলে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় নকল ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছেন। ফলে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি আরও বলেন, এই সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতির সরলীকরণ করা দরকার বলেও মনে করছেন টিটো সাহা। অন্য সংগঠনের বক্তব্যও এক।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

এ নিয়ে রাজ্য পরিবহণ ডাইরেক্টর দিব্যেন্দু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, তাঁরা বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন। যাতে কোনও সমস্যা না থাকে, তার দিকে নজর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির