ছ’বছরে বিষমদে এমপিতে ১৩২২, বিহারে ২৩ এবং গুজরাতে ৫৪ মৃত্যু

- আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
- / 90
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিহারের ছাপরায় বিষমদে মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি তুলকালাম হয় বিহার বিধানসভায়। বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে সরাসরি এই ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করে। রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিষমদে ৫০ জনের মৃত্যু হল কীভাবে? বিষয়টা উদ্বেগের।
তবে এক সমীক্ষায় এর চেয়েও ভয়াবহ পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৬ থেকে ২০২১-এরমধ্যে দেশে বিষমদে মৃত্যু হয়েছে ৬,৯৫৪ জনের। এরমধ্যে মধ্যপ্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে, সর্বাধিক ১৩২২ জনের। এরপর গুজরাতে ৫৪ এবং বিহারে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারণ জেলায় বিষমদে মৃত্যু নিয়ে বিহারের বিজেপি সাংসদরা নীতীশ কুমারকে চাপে ফেলেন। তাঁদের দাবি রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানো হোক এবং মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়াল বিষমদে মৃত্যুর জন্য রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন।
২০১৬ সালে বিহারে মদে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সারণে সর্বশেষ খবরে জানা গিয়েছে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। সিওয়ানে অন্তত আধডজন মদের বলি হয়েছে। ৪ মাস আগেও বিষমদে সারণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও আধিকারিকরা এই পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করেছেন। আধিকারিকদের মতে, বিষমদে বিহারে মাত্র ২৩ জনের মৃত্যুই রেকর্ড করা হয়েছে।
কিন্তু শুধু বিহার নয়, পরিসংখ্যান বলছে, গত ছ’বছরে সর্বাধিক ১৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র বিজেপি-শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে। এরপরই স্থান গুজরাতের, যেখানে বিষমদে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ বিহারের থেকে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় বিষমদে মৃত্যু হয়েছে অনেকটাই বেশি।বিজেপি সাংসদ নীতীশ সরকারকে অভিযুক্ত করে দাবি করেছেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পুলিশি তত্ত্বাবধানে বাড়ি বাড়ি মদ পৌঁছে দেওয়া হয়।