১৫ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ মাসে রেকর্ড বাড়ল মুদ্রাস্ফীতি!

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার
  • / 126

নয়াদিল্লি: ১৪ মাসে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ। চওড়া ভাঁজ মধ্যবিত্তদের কপালে। একদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য। তার উপর এই মুদ্রাস্ফীতির থাবা। এক কথায়, পকেটে আরও টান পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। মঙ্গলবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস) বা এনএসও’র প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংসর দাম ভয়ংকর বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির হার গত ১৪ মাসে সর্বোচ্চ ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। চলতি বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে যা ছিল ৫.৪৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যদ্রব্যের দামে অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে সূচকে এই বৃদ্ধি ঘটেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে শুধু খাদ্যপণ্যের নিরিখে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে ১০.৮৭ শতাংশ। যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৯.২৪ শতাংশ। আর গত বছর এই সময়ে যা ছিল ৬.৬১ শতাংশ। ১৪ মাস পর এই খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসের পর এই প্রথম মুদ্রাস্ফীতির এত বাড়বাড়ন্ত।

ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন দেশের মানুষ। ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবরে ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। দশেরা ও দীপাবলির এই উৎসব মরশুমে যা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬ শতাংশের উচ্চতর সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০.৮৭ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, সবজির মূল্যস্ফীতি ৪২.১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৬.৬৮ শতাংশ এবং ৫.৬২ শতাংশ। অক্টোবরে আবাসন মুদ্রাস্ফীতির হার ২.৮১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর তা ছিল ২.৭২ শতাংশ। আবাসন সূচক শুধুমাত্র শহুরে এলাকার জন্য সংকলিত হয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

এদিকে যাঁরা বাড়ি, গাড়ি লোন সহ সমস্ত ঋণের ইএমআই হ্রাসের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, বর্তমানের চড়া মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আরবিআই-এর মুদ্রানীতিতে রেপো রেট কমার কোনো আশা নেই। তার মানে এখনই ব্যয়বহুল ঋণ থেকে মুক্তি মিলছে না। এটি লক্ষণীয় যে আরবিআইকে খুচরা মূল্যস্ফীতি চার শতাংশে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (দুই শতাংশ পরিবর্তন সহ বা ছাড়া)। এটা তার চেয়ে অনেক বেশি। এর পর রেপো রেট কমানো সম্ভব নয়।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৪ মাসে রেকর্ড বাড়ল মুদ্রাস্ফীতি!

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার

নয়াদিল্লি: ১৪ মাসে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ। চওড়া ভাঁজ মধ্যবিত্তদের কপালে। একদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য। তার উপর এই মুদ্রাস্ফীতির থাবা। এক কথায়, পকেটে আরও টান পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। মঙ্গলবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস) বা এনএসও’র প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংসর দাম ভয়ংকর বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির হার গত ১৪ মাসে সর্বোচ্চ ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। চলতি বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে যা ছিল ৫.৪৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যদ্রব্যের দামে অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে সূচকে এই বৃদ্ধি ঘটেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে শুধু খাদ্যপণ্যের নিরিখে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে ১০.৮৭ শতাংশ। যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৯.২৪ শতাংশ। আর গত বছর এই সময়ে যা ছিল ৬.৬১ শতাংশ। ১৪ মাস পর এই খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসের পর এই প্রথম মুদ্রাস্ফীতির এত বাড়বাড়ন্ত।

ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন দেশের মানুষ। ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবরে ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। দশেরা ও দীপাবলির এই উৎসব মরশুমে যা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬ শতাংশের উচ্চতর সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০.৮৭ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, সবজির মূল্যস্ফীতি ৪২.১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৬.৬৮ শতাংশ এবং ৫.৬২ শতাংশ। অক্টোবরে আবাসন মুদ্রাস্ফীতির হার ২.৮১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর তা ছিল ২.৭২ শতাংশ। আবাসন সূচক শুধুমাত্র শহুরে এলাকার জন্য সংকলিত হয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

এদিকে যাঁরা বাড়ি, গাড়ি লোন সহ সমস্ত ঋণের ইএমআই হ্রাসের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, বর্তমানের চড়া মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আরবিআই-এর মুদ্রানীতিতে রেপো রেট কমার কোনো আশা নেই। তার মানে এখনই ব্যয়বহুল ঋণ থেকে মুক্তি মিলছে না। এটি লক্ষণীয় যে আরবিআইকে খুচরা মূল্যস্ফীতি চার শতাংশে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (দুই শতাংশ পরিবর্তন সহ বা ছাড়া)। এটা তার চেয়ে অনেক বেশি। এর পর রেপো রেট কমানো সম্ভব নয়।