২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনলাইন যৌন চক্রের পর্দা ফাঁস , উদ্ধার ১৪,১৯০ মহিলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 132

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিরাট অনলাইন যৌন চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে সাইবারাবাদ পুলিশ। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪,১৯০ জনকে। অভিযুক্তরা দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ থেকে কল সেন্টার চালাত। এদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ আরও জানিয়েছে বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বহু মেয়েকে পতিতাবৃত্তিতে টেনে আনা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা মেয়েদের টোপ দিত। কলসেন্টারের নাম করে করা হত ফোন।

আগ্রহী পুরুষদের বিভিন্ন হোটেলে ডাকা হত। এইভাবেই যৌন চক্র ফেঁদে চলছিল ব্যবসা। ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। মোট ১৪,১৯০ জন মেয়েকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছিল। পুলিশ তাদের সকলকেই উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া মেয়েদের পঞ্চাশ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ২০ শতাংশ যৌনকর্মী কর্ণাটকের এবং ১৫ শতাংশ মহারাষ্ট্রের বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: চালু হল অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ প্রক্রিয়া

 

আরও পড়ুন: BREAKING: শচীনকে ছাপিয়ে একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বের দ্রুততম ১৪ হাজার রানের মালিক বিরাট

তিন শতাংশ যৌনকর্মী বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান এবং রাশিয়ার মতো দেশ থেকেও ভারতে এসে কাজ করছিল। এরা বহু আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট খুলে এই চক্র চালাত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে দেশের বহু রাজ্যে তাদের দালাল রয়েছে। তারা পৃথক পৃথক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপ খুলে কাজ করে। তারা হরেকরকম চাকরির প্রলোভন দেয়। সহজে বেশি টাকা রোজগারের টোপ দেওয়া হয়। বিলাসবহুল জীবনের গাজর ঝোলানো হয় তাদের সামনে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড থেকে পাচার হওয়া ২৬ জন নাবালক উদ্ধার হায়দরাবাদে, ধৃত ৮

গ্রাহকরা নগদে বা ডিজিট্যাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দিত। যারা ব্যবসা ফেঁদেছে তারা ওই যৌন কর্মীদের দিত ৩০ শতাংশ টাকা। ৩৫ শতাংশ টাকা তারা বিজ্ঞাপন পোস্ট করার জন্য খরচ করত। প্রায় ৩০ শতাংশ টাকা তারা নিজেরা রাখত। আজকাল অনেকেই অনলাইন প্রলোভনের শিকার হন। কোনো প্রলোভনে পা দেওয়ার আগে অবশ্যই বুদ্ধি খরচ খরচ করতে হবে এবং নিজেকে সংযত হতে হবে। তা না হলে এমন বিপদ থেকে পরিত্রান পাওয়া কঠিন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনলাইন যৌন চক্রের পর্দা ফাঁস , উদ্ধার ১৪,১৯০ মহিলা

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিরাট অনলাইন যৌন চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে সাইবারাবাদ পুলিশ। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪,১৯০ জনকে। অভিযুক্তরা দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ থেকে কল সেন্টার চালাত। এদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ আরও জানিয়েছে বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বহু মেয়েকে পতিতাবৃত্তিতে টেনে আনা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা মেয়েদের টোপ দিত। কলসেন্টারের নাম করে করা হত ফোন।

আগ্রহী পুরুষদের বিভিন্ন হোটেলে ডাকা হত। এইভাবেই যৌন চক্র ফেঁদে চলছিল ব্যবসা। ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। মোট ১৪,১৯০ জন মেয়েকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছিল। পুলিশ তাদের সকলকেই উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া মেয়েদের পঞ্চাশ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ২০ শতাংশ যৌনকর্মী কর্ণাটকের এবং ১৫ শতাংশ মহারাষ্ট্রের বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: চালু হল অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ প্রক্রিয়া

 

আরও পড়ুন: BREAKING: শচীনকে ছাপিয়ে একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বের দ্রুততম ১৪ হাজার রানের মালিক বিরাট

তিন শতাংশ যৌনকর্মী বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান এবং রাশিয়ার মতো দেশ থেকেও ভারতে এসে কাজ করছিল। এরা বহু আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট খুলে এই চক্র চালাত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে দেশের বহু রাজ্যে তাদের দালাল রয়েছে। তারা পৃথক পৃথক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপ খুলে কাজ করে। তারা হরেকরকম চাকরির প্রলোভন দেয়। সহজে বেশি টাকা রোজগারের টোপ দেওয়া হয়। বিলাসবহুল জীবনের গাজর ঝোলানো হয় তাদের সামনে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড থেকে পাচার হওয়া ২৬ জন নাবালক উদ্ধার হায়দরাবাদে, ধৃত ৮

গ্রাহকরা নগদে বা ডিজিট্যাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দিত। যারা ব্যবসা ফেঁদেছে তারা ওই যৌন কর্মীদের দিত ৩০ শতাংশ টাকা। ৩৫ শতাংশ টাকা তারা বিজ্ঞাপন পোস্ট করার জন্য খরচ করত। প্রায় ৩০ শতাংশ টাকা তারা নিজেরা রাখত। আজকাল অনেকেই অনলাইন প্রলোভনের শিকার হন। কোনো প্রলোভনে পা দেওয়ার আগে অবশ্যই বুদ্ধি খরচ খরচ করতে হবে এবং নিজেকে সংযত হতে হবে। তা না হলে এমন বিপদ থেকে পরিত্রান পাওয়া কঠিন।