২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরপ্রদেশে সরকারি হোমে খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৬, মৃত্যু চার শিশুর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 139

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লখনউয়ের একটি সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন চার শিশুর। এই কেন্দ্রের দায়িত্ব রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শিশু ও মহিলা কল্যাণ বিভাগ। সরকারের তরফেই খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। ২৩ মার্চ নির্বাণ রাজকীয় বাল গৃহ নামে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে  ৩০ জনের বেশি শিশু একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এরপর তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বমি করার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও ছিল শিশুদের। লখনউয়ের প্রধান চিকি়ৎসা আধিকারিক এন বি সিং বলেছেন, “ডাক্তাররা সংক্রমণের সন্দেহ করছেন। আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ময়নাতদন্তে কিছু পাওয়া যায়নি।”

আরও পড়ুন: মায়ানমারের ভূমিকম্পে ভেঙেছে একাধিক বহুতল, নিখোঁজ বহু

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে টানা বৃষ্টিতে মৃত ৪৫ জন

লখনউয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশাখ জি জানিয়েছেন, “৫ থেকে ১৫ বছরের মোট চার শিশু, দু’টি মেয়ে এবং দু’টি ছেলে মারা গেছে।” লোকবন্ধু রাজ নারায়ণ কম্বাইন্ড হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট ডাক্তার রাজীব কুমার দীক্ষিত জানিয়েছেন, “পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রায় ৩০ জন শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এই সব শিশুরা মানসিক প্রতিবন্ধী। যখন তাদের আনা হয়েছিল তাদের ডিহাইড্রেট হয়েছিল। আমাদের চেষ্টার পরেও দু’টি শিশু মারা যায়।” তিনি আরও বলেন, “অন্য আরেকটি সরকারি হাসপাতালে  দুটি শিশুকে রেফার করা হয়। দু’টি শিশুই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। বাকি ১৬ জনের অবস্থা আগের থেকে ভাল।”

আরও পড়ুন: ৫ পরিযায়ী শ্রমিককে যোগী-পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করল মুর্শিদাবাদ পুলিশ

 

আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ফের গণধর্ষণ! নাবালিকাকে তিন যুবকের গণধর্ষণ

সূত্রের খবর, ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১৪৭ জন শিশু ছিল। যাদের মধ্যে ৭০ জন ডাউন সিনড্রোমে ভুগছিল। কিছু শিশু অনাথ হলেও দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিশুরাও এখানে থাকত। বাবা-মা তাদের সন্তানদের এই কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। শিশুদের জীবিকা নির্বাহের জন্য শিল্প ও কারুশিল্প শেখানো হত। লখনউয়ের বিভাগীয় কমিশনার রোশন জ্যাকব বলেছেন, “শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে এবং দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান চিকিৎসা আধিকারিকের অধীনে গঠিত একটি দল মামলাটির তদন্ত করছে।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উত্তরপ্রদেশে সরকারি হোমে খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৬, মৃত্যু চার শিশুর

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লখনউয়ের একটি সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন চার শিশুর। এই কেন্দ্রের দায়িত্ব রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শিশু ও মহিলা কল্যাণ বিভাগ। সরকারের তরফেই খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। ২৩ মার্চ নির্বাণ রাজকীয় বাল গৃহ নামে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে  ৩০ জনের বেশি শিশু একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এরপর তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বমি করার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও ছিল শিশুদের। লখনউয়ের প্রধান চিকি়ৎসা আধিকারিক এন বি সিং বলেছেন, “ডাক্তাররা সংক্রমণের সন্দেহ করছেন। আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ময়নাতদন্তে কিছু পাওয়া যায়নি।”

আরও পড়ুন: মায়ানমারের ভূমিকম্পে ভেঙেছে একাধিক বহুতল, নিখোঁজ বহু

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে টানা বৃষ্টিতে মৃত ৪৫ জন

লখনউয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশাখ জি জানিয়েছেন, “৫ থেকে ১৫ বছরের মোট চার শিশু, দু’টি মেয়ে এবং দু’টি ছেলে মারা গেছে।” লোকবন্ধু রাজ নারায়ণ কম্বাইন্ড হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট ডাক্তার রাজীব কুমার দীক্ষিত জানিয়েছেন, “পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রায় ৩০ জন শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এই সব শিশুরা মানসিক প্রতিবন্ধী। যখন তাদের আনা হয়েছিল তাদের ডিহাইড্রেট হয়েছিল। আমাদের চেষ্টার পরেও দু’টি শিশু মারা যায়।” তিনি আরও বলেন, “অন্য আরেকটি সরকারি হাসপাতালে  দুটি শিশুকে রেফার করা হয়। দু’টি শিশুই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। বাকি ১৬ জনের অবস্থা আগের থেকে ভাল।”

আরও পড়ুন: ৫ পরিযায়ী শ্রমিককে যোগী-পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করল মুর্শিদাবাদ পুলিশ

 

আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ফের গণধর্ষণ! নাবালিকাকে তিন যুবকের গণধর্ষণ

সূত্রের খবর, ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১৪৭ জন শিশু ছিল। যাদের মধ্যে ৭০ জন ডাউন সিনড্রোমে ভুগছিল। কিছু শিশু অনাথ হলেও দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিশুরাও এখানে থাকত। বাবা-মা তাদের সন্তানদের এই কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। শিশুদের জীবিকা নির্বাহের জন্য শিল্প ও কারুশিল্প শেখানো হত। লখনউয়ের বিভাগীয় কমিশনার রোশন জ্যাকব বলেছেন, “শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে এবং দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান চিকিৎসা আধিকারিকের অধীনে গঠিত একটি দল মামলাটির তদন্ত করছে।”