চেতলায় নৃশংস খুনে গ্রেফতার ২, ঘটনাস্থলে মনোজ ভার্মা
- আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
- / 69
পুবের কলম প্রতিহেদক: শনিবার রাতে চেতলা ১৭এ/১৭বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে নৃশংসভাবে এক যুবককে খুনের ঘটনা ঘটে। মৃত ওই যুবকের নাম অশোক পাসোয়ান। জানা যায়, একেবারে বাসস্ট্যান্ডের অদূরেই মদ্যপানের আসর বসেছিল।
স্থানীয় কয়েকজন সেই আসরে ছিলেন বলে খবর। মদ্যপানের সময় কোনও বিষয় নিয়ে অশোকের সঙ্গে এক ব্যক্তির সঙ্গে চরম বচসা তৈরি হয়। এরপরেই একেবারে নৃশংসভাবে খুন করা হয় অশোক পাসোয়ানকে। শুধু তাই নয়, লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ওই অবস্থাতেই প্রায় একশো মিটার প্রাণ বাঁচাতে ছুটেছিলেন রক্তাক্ত যুবক। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সেই নৃশংস ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে চেতলা থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। খোদ কলকাতার বুকে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এমনকী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন উঠছে। এর মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল চেতলা থানার ওসিকে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা।
এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মনোজ ভার্মা জানান, ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, চেতলার সেই অংশে পর্যাপ্ত আলো, সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না।
নিয়মিত পুলিশ পেট্রলিং হয় না বলেও অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পাল্টা বলেন, ‘এখানে নিয়মিত পেট্রলিং হয়। সিসিটিভি-র ক্যামেরার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরে চেতলা থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিতাভ সরখেলকে। আলিপুর থানার অতিরিক্ত ওসি পদের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে চেতলা ১৭ নম্বর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এক আইনজীবীর চেম্বারের সামনের একটি মদের আসরে উপস্থিত ছিলেন অশোক পাসওয়ান। সেখানেই উপস্থিত অন্য কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে। আর সেই মুহূর্তে অশোকের গলায় শাবল দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অবস্থাতেই ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও রেশরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় সুরজিৎ মণ্ডল ওরফে বাপি এবং তাপস পাল নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


































