২ বছরেই বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা সব সীমান্ত নিশ্চিত করা হবে: শাহ

- আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
- / 9
নয়াদিল্লি, ১ ডিসেম্বর: পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে দু’টি প্রধান সীমান্ত রয়েছে তা আগামী ২ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করা হবে। এই দুই সীমান্তে ৬০ কিলোমিটারের মতো যে ফাঁকফোঁকোর রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা হবে। শুক্রবার বিএসএফের ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া, বিজেপি কথায় কথায় বাংলাদেশ, পাকিস্তানকে টেনে এনে মেরুকরণের রাস্তাকে চওড়া করতে চায়। চিন যেভাবে অরুণাচলে ভারতীয় ভূখণ্ডের অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে তা নিয়ে শাহ নীরব। যদিও তিনি জানান, মন্ত্রী বলেছিলেন যে নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত নয় বছরে ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫৬০ কিলোমিটারের মধ্যে বেড়া দেওয়া হয়েছে এবং ফাঁকগুলি আটকে দেওয়া হয়েছে। শাহর দাবি, এই ফাঁকগুলো অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। শাহ বলেন, ভারতের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকের এই দুটি সীমান্তের সমস্ত ফাঁক পূরণ করা হচ্ছে। প্রায় ৬০ কিলোমিটারের কাজ বাকি রয়েছে। আগামী দুই বছরে আমরা তা সম্পূর্ণ হবে। এই দুটি সীমান্তকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও নিশ্ছি করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের ২,২৯০ কিমি এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪,০৯৬ কিমি জায়গাজুড়ে রয়েছে দীর্ঘ নদীপথ, পাহাড় এবং জলাভূমি। এখানে বেড়া তৈরি করা খুব কঠিন। তাই বিএসএফ ও অন্যান্য এজেন্সিগুলি এখানে অনুপ্রবেশ রুখতে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকে। শাহর কথায়, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি দেশের যদি সীমানা সুরক্ষিত না থাকে তবে সেই দেশ উন্নতি করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চন্দ্রযান মিশন সফল করেছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ১১তম স্থান থেকে ৫ম স্থানে নিয়ে এসেছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে বিএসএফ-এর মতো সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য মোতায়েন করা আমাদের বিএসএফের মতো বাহিনীর কারণে। আমি বিশ্বাস করি সীমান্তের বেড়া শুধু দেশকে সুরক্ষা প্রদান করে না, এটি সীমান্তকে শুধুমাত্র সুরক্ষিত রাখার কাজে সাহায্য করে। আসল কাজ তো করে বিএসএফ। বিএসএফের সাহাসী জওয়ানরা এই কাজটি করেন।