ইনামুল হক, বসিরহাটঃ- সন্দেশখালি ঘটনায় বিজেপির ডাকা বারো ঘন্টার বসিরহাট বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। বাজার ঘাট সেভাবে বন্ধ না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সোমবার সকাল থেকেই বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নেমে পড়ে। টাকি রোড, বাদুড়িয়া চৌমাথা প্রভৃতি জায়গায় ব্যারিকেড করে বাস-অটো ইত্যাদি যানবাহন আটকে দেওয়া হয়। এতে যাত্রীসাধারণ অসুবিধায় পড়েন। পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। বসিরহাটের স্বরুপনগর, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, হাসনাবাদ মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ সহ রাজনৈতিক সংঘর্ষের কেন্দ্রস্হল সন্দেশখালিতেও বন্ধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় । বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করলেও পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। এদিন সকাল সাতটা থেকে শিয়ালদা-হাসনাবাদ লাইনে হাসনাবাদ ,মধ্যমপুর, ভ্যাবলা ইত্যাদি স্টেশনে রেল লাইনের উপর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ঝান্ডা লাগিয়ে বসে পড়েন। সকাল সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত রেল অবরোধে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। নিত্যযাত্রীদের অনুরোধে রেল পুলিশের সহায়তায় অবরোধ উঠে গেলে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিন বসিরহাট মহকুমার সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি অফিস গুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয় ।বসিরহাট মহকুমা আদালতে ও লোকজন ছিল চোখে পড়ার মতো। গ্রীষ্ম অবকাশের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এদিন প্রথম খোলে। সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের হাজিরা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা কম থাকলেও শিক্ষকদের হাজিরা ছিল নিয়ম মতোই ।এদিকে সন্দেশখালিতে নতুন করে কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও হাটগাছি সহ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ও ব্যাফ মোতায়েন ছিল। অন্যদিকে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শান্তি মিছিল বের করা হয় । এলাকায় শান্তি রক্ষায় বিজেপির কোনরকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করে দেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলা পরিষদের বন ও ভুমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, বাদুড়িয়ার পুর প্রধান তুষার সিংহ, তৃণমুল শ্রমিক সংগঠনের বসিরহাট মহকুমা সভাপতি কৌশিক দত্ত প্রমুখ নেতারা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন