শাসক দল বিজেপির নতুন সুর–আগে নাগরিকত্ব বিল সংশোধনী পাস, তারপর এনআরসি। এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা মুসলিম ছাড়া সব ধর্মের অনুপ্রবেশকারীরাই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। বিপদে পড়বে মুসলিমরা। আর এই বিষয়টি নিয়েই দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে এসেছেন। তিনি দিল্লিতে বারবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন বিভিন্নজনের সঙ্গে।তবে ভারত বারবার আশ্বস্ত করছে ব্যাপারটি নিয়ে। শেখ হাসিনা এনআরসি নিয়ে আশ্বস্ত হবার কথা নিজেই জানান। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক অনুষ্ঠানে এনআরসি নিয়ে তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে বলেছেন, এনআরসি নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বলেছেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ মোদির কথায় তিনি আশ্বস্ত কি না, জানতে চাওয়া হলে হাসিনা বলেন, ‘অবশ্যই সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে আশ্বাস দিয়েছেন। আমি কেন তা হলে অন্য কিছু ভাবব?’একই কথা এর আগে ঢাকা সফরে গিয়ে বলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এনআরসি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বরাভয় দান বাংলাদেশকে নিশ্চিন্ত করলেও এই প্রতিবেশী দেশের দুশ্চিন্তা বাড়ছে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে।প্রস্তাবিত সংশোধনীর লক্ষ্য, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্সি ভারতে চলে এসেছেন, ৬ বছরের অপেক্ষা শেষে তাঁরা সবাই ভারতের নাগরিক হতে পারবেন।
একান্ত আলাপচারিতায় সেদেশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই আইন সংশোধিত হলে সেটা বাংলাদেশের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর দুর্বৃত্তদের আক্রমণ নেমে আসতে পারে। ভারতের বোঝা উচিত, তাদের এই পদক্ষেপ মৌলবাদী শক্তিদের উৎসাহিত করবে। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অন্য এক সফরসঙ্গী কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ সদা সচেষ্ট। বিদেশি বাছাইয়ের নামে কিছু মুসলমানকে যদি বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়, তার একটা প্রতিক্রিয়া দেশের অভ্যন্তরে পড়লেও পড়তে পারে। তেমন হলে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা হয়ে দাঁড়াবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বাড়তির দিকে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশকে নিরাপদ বলে ভাবতে শিখেছেন। এই ধরনের (প্রস্তাবিত সংশোধনী) গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আঞ্চলিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি ভারতের নজরে রাখা জরুরি।
সফররত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা অবশ্য মনে করেন, ভারতের আইন-আদালত এই উদ্যোগকে (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) মান্যতা দেবে না। ধর্মের আধারে নাগরিকত্ব প্রদান ভারতের সংবিধানবিরোধী বলেই গণ্য হবে।
এনআরসি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বরাভয় দান বাংলাদেশকে নিশ্চিন্ত করলেও এই প্রতিবেশী দেশের দুশ্চিন্তা বাড়ছে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে।প্রস্তাবিত সংশোধনীর লক্ষ্য, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্সি ভারতে চলে এসেছেন, ৬ বছরের অপেক্ষা শেষে তাঁরা সবাই ভারতের নাগরিক হতে পারবেন।
একান্ত আলাপচারিতায় সেদেশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই আইন সংশোধিত হলে সেটা বাংলাদেশের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর দুর্বৃত্তদের আক্রমণ নেমে আসতে পারে। ভারতের বোঝা উচিত, তাদের এই পদক্ষেপ মৌলবাদী শক্তিদের উৎসাহিত করবে। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অন্য এক সফরসঙ্গী কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ সদা সচেষ্ট। বিদেশি বাছাইয়ের নামে কিছু মুসলমানকে যদি বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়, তার একটা প্রতিক্রিয়া দেশের অভ্যন্তরে পড়লেও পড়তে পারে। তেমন হলে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা হয়ে দাঁড়াবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বাড়তির দিকে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশকে নিরাপদ বলে ভাবতে শিখেছেন। এই ধরনের (প্রস্তাবিত সংশোধনী) গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আঞ্চলিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি ভারতের নজরে রাখা জরুরি।
সফররত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা অবশ্য মনে করেন, ভারতের আইন-আদালত এই উদ্যোগকে (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) মান্যতা দেবে না। ধর্মের আধারে নাগরিকত্ব প্রদান ভারতের সংবিধানবিরোধী বলেই গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন