পুবের কলম, ওয়েব ডেক্স: মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার দায়ে দেশটির নেত্রী আন সাং সু কিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্তার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করার দায়ে এর আগে দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক কর্তা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি পড়েছিল। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো শান্তিতে নোবেল জয়ী আন সাং সু কির বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার রোহিঙ্গা ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন এই মামলা দায়ের করে।
‘ইউনিভার্স জুরিসডিকশন’ বা ‘বিশ্বজনীন বিচারব্যবস্থা’র আওতায় আর্জেন্টিনায় মামলাটি করা হয়েছে। এটি এমন একটি আইন যা দ্বারা যে কোনও জায়গায় ঘটে যাওয়া নির্যাতন ও মানবতার বিরুদ্ধে যায় এমন ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়।
২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া মায়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে সেখান থেকে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
সোমবার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মায়ানমারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে মামলা করেছে গাম্বিয়া।
অভিযোগ, মায়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বাসস্থান জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো নির্যাতনের কথা বলেছে গাম্বিয়া।
আইনজীবী টমাস ওজিয়া বলেন, অভিযোগে অপরাধী, সহযোগী ও তথ্য গোপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। আমরা আর্জেন্টিনার মাধ্যমে এটা করছি, কারণ অন্য কোথাও এই অভিযোগ করার কোনো আইনি সুযোগ নেই।
মামলায় মায়ানমারের সুচির মতো শীর্ষ রাজনীতিক ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাংয়ের মতো সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওজিয়া আশা করছেন, এই মামলার পর তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।
বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের প্রেসিডেন্ট তুন খিন বলেন, ‘দিনের পর দিন মিয়ানমার সরকার আমাদের উৎখাতে চেষ্টা করে গেছে। আমাদের হত্যা করা হয়েছে কিংবা দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন