আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনকে এক চিঠিতে কাফিল খান লেখেন, ‘ভারতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ধারাগুলি লঙ্ঘিত হচ্ছে সর্বত্র। এনএসএ (ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল) ও ইউএপিএ-র (আন ল’ফুল অ্যাকটিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট) মতো আইনকে কাজে লাগিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা চলছে।’
কাফিল খান আন্তর্জাতিক কমিশনকে প্রশংসা করে তাঁর ওই চিঠিতে লেখেন, ‘শান্তিপূর্ণ সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের মানবাধিকার রক্ষার যে আবেদন ভারতের সামনে আন্তর্জাতিক মঞ্চ রেখেছে তা সত্যিই ধন্যবাদযোগ্য। কিন্তু ভারত সরকার এই আবেদনে মোটেই আন্তরিক নয়।’ মথুরা জেলে কাটানো সাত মাস তিনি কীভাবে অত্যাচারিত হন তারও সম্পূর্ণ বিবরণ দেন। তিনি লেখেন, ‘জেলে অতি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁকে রাখা হয় শুধু তাই নয় তাঁর উপর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয়।’’
তিনি চিঠিতে গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস হাসপাতালে ২০১৭ সালের ১০ অগস্টের ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, তরল অক্সিজেনের সাপ্লাইয়ে ঘাটতিই এতগুলি শিশুমৃত্যুর একমাত্র কারণ। এখানে তিনি কোনওভাবেই দায়ী নই। তা সত্ত্বেও তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন