পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:
সংসদকে কোনওভাবেই মোদি-শাহ’র প্রাইভেট কোম্পানি হতে দেব না। আসন্ন বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ারের মতো বিষয় বাদ দেওয়ার মতো বিষয় সামনে আসতেই তোপ তৃণমূলের। তাদের দাবি, সোম থেকে শুক্র প্রতিদিন ১ ঘণ্টা প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখতেই হবে। জিরো আওয়ারে বলতে দিতে হবে জনস্বার্থের মতো ইস্যুতে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বুধবার বলেন, ‘সংসদ শুধুমাত্র সরকারের বিল পাশের জায়গা নয়। দেশের স্বার্থে বিরোধীদের বক্তব্য শুনে সরকারকে জবাবদিহিও করতে হবে।’ ডেরেক আরও বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে যেভাবে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দেওয়া
কোনওভাবেই মেনে নেব না। সংসদ মোদি-শাহর প্রাইভেট কোম্পানি নয়।’ সাম্প্রতিক ইস্যুতে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব থেকে পালাতে চাইছে বলেই সরকার এই পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ডেরেক বলেন,এটা
বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের সংসদ নাকি এম অ্যান্ড এস প্রাইভেট লিমিটেড? ।
বুধবার সকালে এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেছেন ডেরেক। গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। টুইটে ডেরেক লিখেছেন, ‘কোনও সাংসদ যদি প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে ১৫ দিন আগে থেকে সেই প্রশ্ন সংসদে জমা দিতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হয়েছে।’
ডেরেক ওব্রায়েনের অভিযোগ, বিরোধীরা সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার হারাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের পরে এমনটা আর কখনও হয়নি। সংসদের কাজের সময় তো একই আছে। তাহলে কেন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল? ডেরেকের অভিযোগ, অতিমহামারীকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব ছেঁটে ফেলায় কথা বিরোধীদের জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। সেই মতো তিনি কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ ও অধীর চোধুরী, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন-সহ অন্যান্যদের ফোন করেছিলেন। সেখানে রাজনাথ জানান যে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে অধিবেশনে অনেক অফিসারদের উপস্থিত থাকতে হবে যারা মন্ত্রীদের পরামর্শ দেন কি উত্তর দিতে হবে সেই নিয়ে। তবে জিরো হাওয়ার চলবে, প্রশ্নোত্তর পর্ব না হলেও এই আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ।
সরকারের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূলের ডেরেক। তাঁর দাবি যে ভার্চুয়াল ভাবেও ব্রিফিং করা যায় মন্ত্রীদের। এর জন্য অফিসারদের আসার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নোত্তর পর্ব হল বিরোধীদের কাছে মন্ত্রীদের থেকে কৈফিয়ত চাওয়ার সুযোগ।’ এরপরেই ডেরেক বলেন, ‘এটি সংসদ নয়, এম অ্যান্ড এস প্রাইভেট লিমিটেড হয়ে গেছে। ইঙ্গিতটি যে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের প্রতি, তা বলাই বাহুল্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন