আসাদুল ইসলাম
ডাক্তারি পড়ার ভর্তি পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি-কাম-এন্ট্রান্স টেস্ট আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বা নিট পরীক্ষায় এ বছর ঐতিহাসিক ফল করেছে রাজ্যে অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-আমীন মিশনের ছাত্রছাত্রীরা। এ বছর আল-আমীন মিশন থেকে ৫০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী নিট পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারি পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। গতবছর, ২০১৯ সালে সর্বভারতীয় স্তরে ৫৫ হাজারের মধ্যের্ যাঙ্ক করেছিল ৪২২ জন, যার মধ্যে ছাত্র ছিল ৩৬১ জন, ছাত্রী ৬২ জন।
২০১৮ সালেও ৪০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আল-আমীন মিশন উজ্জ্বল নজির তৈরি করেছে। ২০২০ সালের নিট পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, আল-আমীন মিশন থেকে ৫৫ হাজারের মধ্যের্ র্যাঙ্ক করেছে ৪৬২ জন। সারাদেশে মোট প্রায় ৬৫ হাজারের মতো আসন আছে ডাক্তারি পড়ার। ৬৫ হাজারের মধ্যে আল-আমীন মিশনেরর্ যাঙ্ক করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫০০ জনের বেশি। ওই ৫০০ জনের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০০ জন।
আল-আমীন মিশনের দৌলতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি হতে চলা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি ছাত্রছাত্রী হবে সংখ্যালঘু সমাজের। স্বাধীনতার পর রাজ্যে ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সমাজের উত্তরণের এমন নজির এই প্রথম। এই অনন্য নজির তৈরি হল আল-আমীন মিশনের হাত ধরে। এ বছর আল-আমীন মিশন থেকে ১৫ হাজারের মধ্যে র্যাঙ্ক করেছে ৯১ জন, ২৫ হাজারের মধ্যের্ যাঙ্ক করেছে ১৭৬ জন, ৩৫ হাজারের মধ্যে র্যাঙ্ক করেছে ২৭৪ জন, ৪৫ হাজারের মধ্যে র্যাঙ্ক করেছে ৩৬৪ জন, ৫৫ হাজারের মধ্যে র্যাঙ্ক করেছে ৪৬২ জন।
আল-আমীন মিশন থেকে এ বছর সর্বভারতীয় স্তরে সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক হয়েছে ৯১৬। গোটা ভারতে ১৩ লখ্যের বেশি ছাত্রছাত্রী এ বছর নিট পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ৯১৬ র্যাঙ্ক করে আল-আমীন মিশনের মুখ উজ্জ্বল করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শাসন থানার চাদপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান জিসান হোসেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন