কিনশাসা, ১৭ অক্টোবরঃ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ১ কোটি ১০ লক্ষ ছাত্রী আর কখনও স্কুলে ফিরতে পারবে না। আফ্রিকার অনুন্নত দেশ কঙ্গো সফরে গিয়ে আক্ষেপ করে এই মন্তব্য করলেন ইউনেসকো-র প্রধান অড্রে আজুলয়। রাজধানী কিনশাসা শহরে অবস্থিত এক হাইস্কুল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, অতিমারি-করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে অসংখ্য স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু, মানুষের হাতে টিকা পৌঁছে গেলেও, স্বাস্থ্যবিধি উঠে গেলেও অন্তত ১ কোটি ১০ লক্ষ মেয়ে আর কখনও স্কুলের গণ্ডিতে ফিরে যেতে পারবে না। খুবই দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্যি। যদিও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বুধবার থেকে স্কুল-কলেজ খুলে গিয়েছে। তাই বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলছুট ঠেকাতে ইউনিসেফ-এর তরফে বিদ্যালয়স্তরে বিশেষ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন চালুর কথাও বলেন ফ্রান্সের প্রাক্তন সংস্কৃতিমন্ত্রী অড্রে আজুলয়। তাঁর কথায়, একবিংশ শতাব্দীতেও শিক্ষায় অসাম্য-বৈষম্য রয়ে গিয়েছে।
এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এদিন স্কুল পরিদর্শনকালে ইউনিসেফের শীর্ষকর্তার সঙ্গেই ছিলেন কঙ্গোর শিক্ষামন্ত্রী উইলি বাকনগা। আজুলয়কে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তাশিসকেদি গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে কঙ্গোয় সমস্ত সরকারি স্কুলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা চালু করেছেন। যার ফলে খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে ৪০ লক্ষেরও বেশি শিশু-কিশোর নতুন করে স্কুলে পা রেখেছে। তবে এখনও দেশটিতে শিক্ষা পরিষেবায় অনেক ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। স্কুলগুলোর পরিকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ এখনও তুলনামূলক অনেকটাই কম বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আজুলয়। তাই শিক্ষায় উৎকর্ষতা বাড়াতে ইউনিসেফ কঙ্গো সরকারকে যথাসাধ্য সহায়তা দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। উল্লেখ্য, বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করতে দেশটির বছরে ২৬৪ কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। যাতে এই খাতে ইউনিসেফ বড় অংকের ভরতুকি দেয় সেই আবেদন জানান কঙ্গোর শিক্ষামন্ত্রী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন