পুবের কলম প্রতিবেদক: ব্যারাকপুরে অশান্তি সৃষ্টি করছেন অর্জুন সিং। মঙ্গলবার টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত তৃণমূলের শান্তিমিছিলে যোগ দিয়ে এভাবেই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার বানাতে চাইছে বিজেপি। সেই উদ্দেশ্য কোনওদিনই সফল হবে না। অর্জুন সিংয়ের নাম না করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ২০১৯ লোকসভায় অল্প ভোটে এখানে এক সাংসদ জয়ী হয়েছেন। তার মানে এই নয়, জমিদারি পেয়ে গেলেন। তারপর থেকে পার্টি অফিস দখল, বোমাবাজি, মানুষকে মারধর চলছে। এর প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সভা করেছেন। ব্যারাকপুরে বিজেপির আতঙ্ক ও অশান্তির প্রতিবাদে এ দিনের এই শান্তিমিছিল।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর রাতে টিটাগড় থানার সামনে খুন হন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। তারপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। মন্তব্য, পালটা মন্তব্য চলতে থাকে তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে। মণীশ খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ক’দিন আগেই ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেন অর্জুন সিং। এরপরই রাজ্যের শাসকদল এ দিন এই পালটা মিছিলের কর্মসূচি নেয়।
শান্তি মিছিলে যোগ দিয়ে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ২০১৯ সালে যেদিন লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছিল সেদিন থেকে ব্যারাকপুরে অশান্তি শুরু হয়েছে। ব্যারাকপুরে এমন একটি দিন দেখাতে পারবেন না যেদিন এলাকার সমাজবিরোধীরা এরওর বাড়িতে ঢুকে বোমাবাজি করেনি। জোর করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে। কথা না শুনলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে এদিনের তৃণমূলের শান্তি মিছিলকে বিজয় মিছিল বলে আখ্যা দেন অর্জুন সিং। এর পরিপ্রেক্ষিতে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, বিজয় মিছিল করব আমরা ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের পর। তখন লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে বিজয় মিছিল হবে ব্যারাকপুরে। তাঁর বক্তব্য সিআইডি মণীশ খুনের সত্য ঠিকই উদ্ঘাটিত করবে। কেউ ছাড়া পাবে না। যারা দোষী তারা প্রত্যেকে গারদে ঢুকবে। পাপ বাপকে ছাড়ে না।
অন্যদিকে, মণীশ খুনের ঘটনায় বিজেপির করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল। আদালত বলেছে, মণীশ খুনের ঘটনায় সিআইডি কীভাবে তদন্ত এগোচ্ছে এবং এখনও পর্যন্ত কী তদন্ত হয়েছে, তার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চাই। সপ্তাহখানেক আগে মণীশ খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজ্যের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজেপি। তার কারণেই আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানির পরই হাইকোর্ট রাজ্যকে এই নির্দেশ দেয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন