![]() |
ছবি খালিদুর রহিম |
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ অসমের মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে, আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। মঙ্গলবার কলকাতার অসম ভবনে ডেপুটেন দেওয়ার সময় এ কথা বলেন, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। অসম সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অসমের বিজেপি সরকার ঘোষণা করেছে, অসমে যে সমস্ত অনুমোদিত মাদ্রাসা রয়েছে, সেগুলি আগামী নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
![]() |
ছবি খালিদুর রহিম |
তিনি বলেন, মাদ্রাসাগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠে ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরাধীন ভারত অর্থাৎ ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। দেশের বহু মনীষী এই মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন। দেখা গেছে, হিন্দু সমাজের সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ও মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন। তাই দেশের মাদ্রাসাগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকার মেরুকরণের রাজনীতিকে বহাল রাখতে তাদের প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ব্রিটিশ আমলেও ছিল।
ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর মেরুকরণে রাজনীতিকে কায়েম করতে মুসলিমদের সম্পর্কে ঘৃণা তৈরি করার ধারা বহাল রেখেছে। মুসলিমদের মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেওয়া, সভ্যতা, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য অসমের মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এদিন অসমের মাদ্রাসা বন্ধ প্রত্যাহারে দাবিতে কলকাতার অসম ভবনে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। তাঁরা জানিয়েছে, অসম এই অসংবিধানিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুক।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দ্বারা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান পরিচালিত করার বিষয়ে সংবিধান অধিকার দিয়েছে। আম্বেদকরের রচিত সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে, সেই অধিকার পূর্ব করার কোনও ক্ষমতা অসম সরকারের নেই। সেটা এদিন অসম ভবনে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অসমে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে করোনা পরিস্থিতি কাটলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে সারা বাংলা সখ্যালঘু যুব ফেডারেশন ও মুসলিম সমাজ। এর প্রতিবাদে কলকাতার অসম ভবন অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঘেরাও করে রাখা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন