নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবরঃ লকডাউন পর্ব শেষের পর এখন চলছে ‘আনলক’ পর্ব। আনলকের এই পঞ্চম পর্বেও স্কুল-কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে অবশ্য ক্লাস শুরু হয়েছে ঠিকই– কিন্তু সশরীরে স্কুল-কলেজে যাওয়ার বালাই নেই। বাড়িতে বসেই যাবতীয় পড়াশোনা করতে হচ্ছে। এভাবে এতদিন ধরে ঘরে বসে থাকতে থাকতে পডYয়াদের একটা বড় অংশ হাঁপিয়ে উঠেছে। তাছাড়া করোনার ভ্যাকসিনও এখনও বাজারে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে কবে থেকে খুলবে স্কুল সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। যদিও স্কুল খোলার ব্যাপারে প্রত্যেক রাজ্যই নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়েছে।
আনলক-৫ পর্বে এসে কেন্দ্র একাধিক প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। রাজ্যগুলি চাইলে ১৫ অক্টোবর থেকে ফের স্কুল খুলতে পারে বলেও অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের আনলক-৫ গাইডলাইনে রাজ্যগুলিকে স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রের অনুমতি মিললেও একাধিক রাজ্য এখনই স্কুল খুলতে নারাজ। বাংলার তৃণমূল সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা নভেম্বর মাসের আগে স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনও ভাবনা-চিন্তা করবে না। একইভাবে দিল্লি, কর্নাটক, ছত্তিশগড়ও এখনই স্কুল খুলতে নারাজ। হরিয়ানা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিও এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি।
তবে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়েছে, ১৯ অক্টোবর থেকে তারা স্কুল খুলতে চলেছে। তবে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। ১৫ অক্টোবর থেকে স্কুল খুলতে চায় পঞ্জাব সরকার। তবে শুধুমাত্র নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। প্রতি ক্লাসে ২০ জনের বেশি পড়ুয়া রাখা হবে না। ৩১ অক্টোবরের আগে স্কুল খুলছে না দিল্লিতেও।
রাজ্যের কেজরিওয়াল সরকার গাইড লাইন বেঁধে ঘোষণা করেছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও স্কুল খোলা যাবে না। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দীপাবলির পরই স্কুল খোলার ব্যাপারে তারা ভাবনা-চিন্তা করবে। মেঘালয় সরকার স্কুল খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিভাবকদের থেকে এই বিষয়ে মতামত চেয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও জানিয়ে দিয়েছে, ২ নভম্বরের আগে তারা স্কুল খুলবে না। বাংলার তৃণমূল সরকার জানিয়ে দিয়েছে, নভেম্বরেই স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকবে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন