নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবরঃ ১৬ অক্টোবর ছিল ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’। খাদ্য দিবসে সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের শপথ ‘পুিষ্ট দাও এবং সঙ্গে থাক’। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরই মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝেছে খাদ্য কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ধারণ করতে পারে বিশ্বে। সেকারণেই রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বার্তা। বর্তমানে বিশ্বে এমন এক পরিকল্পনার প্রয়োজন, যা শুধু কৃষিকে সংকটমুক্ত করবে না, খাদ্যতন্ত্রকে এমন এক অভিমুখে নিয়ে যাবে যাতে বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য পুষ্টি ও খাদ্যের ব্যবস্থা হতে পারে।
করোনারকালে বিশ্বের সমগ্র কৃষিক্ষেত্র একটি মাত্র ভিত্তি হিসেবে দেখা গিয়েছে। ভারতে দেখা যায়, যখন অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মাইনাস ২৩.৯ শতাংশ ছিল, তখন কৃষি ইতিবাচক বৃদ্ধির হার বজায় রাখতে সক্ষম ছিল। দুর্যোগের সময়ও কৃষিতে বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৪ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রের মাহাত্ম্য মানুষের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভারতের মতো দেশে কৃষিকে পর্যায়ক্রমে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে, যখন কৃষিক্ষেত্রই এই দেশের মেরদন্ড। কয়েক দশক ধরে ভারতে শিল্পের জন্য কৃষিকে আপোশ করতে হয়েছে। এই ধরনের পরিকল্পনার খামতি করোনাকালে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এখন কৃষি এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। প্রথমেই প্রয়োজন কৃষকদের জীবনে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন