পুবের কলম, লখনউঃ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দ (৭৩)-র বিরুদ্ধে নিজেই অভিযোগ করেছিলেন যৌন নির্যাতনের। কিন্তু ঘটনার ঠিক এক বছর পর নিজের করা অভিযোগই অস্বীকার করলেন আইনের ছাত্রী। এখানেই শেষ নয়, পুলিশের কাছে মিথ্যা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করার জন্য এবার মিথ্যাচারের মামলার মুখে পড়তে চলেছেন অভিযোগকারী ছাত্রী। আজ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লখনউয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিয়ে নিজের দায়ের করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রী। তিনি নাকি যৌন নির্যাতনের কোনও অভিযোগই করেননি। ফলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেছেন সরকারি আইনজীবী। তিনি তৎক্ষণাৎ আদালতের কাছে আর্জি পেশ করে বলেন, কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর বা ফৌজদারি কার্যপ্রণালী বিধির ৩৪০ ধারা অনুযায়ী অভিযোগকারী ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ দিকে বিচারপতি পিকে রাই বিষয়টি নথিভুক্ত করতে আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তকে সেই ঘটনা জানানো হয়। আজ বিশেষ আদালতে সেই মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এলাবাবাদ হাইকোর্ট চিন্ময়ানন্দের জামিন মঞ্জুর করে। শাহজাহানপুরে তিনি আইনের কলেজ চালান। তাঁর কলেজেরই এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন, ফলে তাঁকে গতবছর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬সি, ৩৪২, ৩৫৪ডি ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। সরকারি আইনজীবী জানাচ্ছেন, নির্যাতিতা গতবছর ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির লোধি কলোনি থানায় এফআইআর করেন। তাঁর বাবাও আলাদা এফআইআর করেন। গঠিত হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। তারপর জল অনেকদূর গড়িয়েছে। হঠাৎ করে শুনানির সময় মঙ্গলবার অভিযোগ অস্বীকার করেন তরুণী।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর থেকে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ কোর্টে মামলা স্থানান্তরিত হয়। অভিযোগকারী সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, সন্ত সম্প্রদায়ের নেতার বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন বলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে চিন্ময়ানন্দের পালটা অভিযোগ, তাঁকে ব্লাকমেইল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আইনের ওই ছাত্রী চিন্ময়ানন্দের কাছে টাকা আদায় করতে চাইছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে নির্যাতিতা ও তার তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা চিন্ময়ানন্দের কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন