পানিপত, ১৬ অক্টোবরঃ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শৌচাগারে আটকে রাখা হয়েছিল এক মহিলাকে। বহু দিন তাঁকে খেতেও দেওয়া হয়নি। এভাবে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী নরেশ। হরিয়ানার ঋষিপুর গ্রামের ঘটনা। আটকে থাকা ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন মহিলা সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আধিকারিক রজনী গুপ্তা ও তাঁর দল। খবর পেয়েই তিনি দৌড়ে যান সেখানে। গিয়ে দেখেন খবরটি সত্য। ওই মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তাঁকে মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতে অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রজনী গুপ্তা গ্রামে গিয়ে বাঁচিয়েছেন ওই মহিলাকে যাঁকে তাঁর স্বামী এক বছরেরও বেশি সময়ে ধরে শৌচালয়ে বন্দি করে রেখেছিলেন। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেহেতু বলা হচ্ছে যে, মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া হবে বলে জানাল পুলিশ। রজনী গুপ্তার দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে বুঝেছেন যে তাঁর মানসিক রোগ নেই। কিন্তু মানসিক সমস্যা থাক বা না থাক, কাউকে শৌচালয়ে আটকে রাখা নিঃসন্দেহে অমানবিক। এত দিন নাওয়া-খাওয়া না করার ফলে মহিলার শরীর ভেঙে পড়েছে। জট পড়ে গিয়েছে চুলে। উদ্ধারের পর রজনীর দল তাঁর মাথা ধুয়ে সাফসুতরো করে দেয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন