নয়াদিল্লি, ২০ অক্টোবরঃ গত কয়েকমাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা জারি রয়েছে। গালওয়ান সীমান্তে ড্রাগন সেনাবাহিনী হত্যা করেছে ২০ ভারতীয় জওয়ানকে। আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চিন জব্দ করতে হলে ভারতের উচিত আমেরিকার শক্ত হাত ধরা। প্রয়োজনে সেনাও পাঠাতে পারে সুপার পাওয়ার আমেরিকা। সর্বোপরি যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে উত্তর সীমান্তে। নভেম্বরেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে বলে ধারণা করছেন কূটনীতিকরা।
এবার সেই জল্পনার পারদ চড়াল আমেরিকার কাছ থেকে ভারতের সামরিক সরঞ্জাম কেনার খবর। পার্বত্য অঞ্চলে ব্যবহার করা যায় এমন সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকার কাছ থেকে কিনছে ভারত। তাতেই জল্পনা আরও বেড়েছে। যুদ্ধে ব্যবহৃত গাড়ির জ্বালানি, রণতরি ও যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম আমেরিকার কাছ থেকে কিনতে শুরু করেছে ভারত। খবর প্রকাশ হতেই চারদিকে শুরু হয়েছে যুদ্ধের গুঞ্জন। ক’দিন আগেই অটল টানেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে করে অল্প সময়ে সেনাবহর যেতে পারবে লাদাখে। শীতের বরফেও কাবু করতে পারবে না জোগান ব্যবস্থাকে।
ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের শীতলতা নিয়ে উৎসাহী আমেরিকা। লাদাখ সীমান্তে যে চিনা সেনা বাড়তে শুরু করেছে, তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন আমেরিকার কূটনীতিক পম্পেও। চিন প্রায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলে তিনি জানান। তারপরেই ভারত আমেরিকার কাছ থেকে একের পর এক সামরিক সরঞ্জাম কিনতে শুরু করেছে। অস্ত্রশস্ত্র বিক্রির জন্য আমেরিকা ভারতকে ভয় দেখিয়েছিল বলেও অনেকে উপহাস করছেন।
তবে সীমান্ত পরিস্থিতি খারাপ। দফায় দফায় দু’তরফের বৈঠক হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। উঁচু পার্বত্য এলাকায় প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে যেসব সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা যায়, সেগুলি কিনছে ভারত। রণতরী ও যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ আমেরিকার কাছ থেকে কিনতে শুরু করেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, যুদ্ধে ব্যবহৃত সামরিক শকটের জ্বালানিও মজুত করতে শুরু করেছে বাহিনী। আর এভাবেই দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন অনেকে। ধারণা করছেন, ভারত-চিন যুদ্ধ শুরু হতে আর বেশি দিন বাকি নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন