পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা ‘নিট ২০২০’ পরীক্ষার ফলাফল। তাতে বেঙ্গালুরুর ড. মুমতাজ আহমেদ খানের আল-আমীন এডুকেশনাল সোসাইটি পরিচালিত কলকাতার পার্ক সার্কাসের আল-আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির সাফল্য নজরকাড়া। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ১৯ জন ৫০,০০০ সর্বভারতীয় রাঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। মোট ১৬০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সকলেই নিট কোয়ালিফাই করেছে এবার। সফলদের মধ্যে রয়েছেন পিতৃহারা ও কৃষক পরিবারের ছেলে আল আমীন হোসেন। যাঁর সাফল্যে গ্রামের লোকজন থেকে শুরু করে খুশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিও। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা ওই পড়ুয়া আল-আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিট-এ ৬৩৯ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর সর্বভারতীয় রাঙ্ক ৬১২৭। তাঁর স্বপ্ন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে নিজের গ্রামের মানুষের সেবা করা।
এ নিয়ে আল আমীন হোসেন বলেন, বাবা আনোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর তাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন মা হাসিনা বিবি। সঙ্গে বড় ভাই আবুজারও। সেই প্রেরণা পেয়ে আর আল আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির কর্ণধার ও বিশিষ্ট বায়োলজির শিক্ষক ইনজামূল হক মিদ্যার বিশেষ তত্ত্বাবধানে এই সাফল্য এসেছে। তাকে যথাযথ সহায়তা দিয়েছেন আল কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির অপর দুই কর্ণধার আসিফ নিসার ও তানভির খান।
আল-আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির আর এক কৃতী ছাত্র সায়ন খান পেয়েছেন ৬১৮ নম্বর। তাঁর সর্বভারতীয় রাঙ্ক ১২,৩৮৮। ভবিষ্যতে নিউরো সার্জেন হতে চান তিনি। কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন রুবিনুর খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬১৩ এবং সর্বভারতীয় রাঙ্ক ১৪,৩৩৪। সদ্য পিতৃহারা রুবিনুর খাতুন ভবিষ্যতে গাইনোকলজিস্ট হতে চায়।
আল-আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির তত্ত্বাবধানে চলা কালিয়াচক আবাসিক মিশন (মালদা)-এর ফলাফলও চমকপ্রদ। সেখান থেকে এ বছর সর্বভারতীয়র্ যাঙ্ক হয়েছে যথাক্রমে রফিকুল হাসান ৫৮৮১– মুহাম্মদ ইরফান হাবিব ২৩৮৯৫, নঈম রেজা মণ্ডল ২৩৮৯৫– জামিলুর রহমান ২৯০০০, জামাল সেখ ৩৭৯৬০, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ৪,৮০০ (এসসি্ ইনজামামুল হক ৩১২ (পি.এইচ)।
এ ব্যাপারে আল আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমির কর্ণধার ইনজামূল হক মিদ্যা বলেন– গ্রামের ছেলে আল আমীন হোসেন। কৃষক পরিবারের সন্তানের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। তারই ফলেই সাফল্য আল আমীন হোসেনের। মিদ্যা আরও বলেন– গরিব মেধাবী ছাত্রদের সহায়তা দিয়ে ডাক্তার গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই কাজই করে চলেছে আল আমীন কোয়েস্ট অ্যাকাডেমি। মিদ্যার কথায়– বাবা-ই-তালিম ড. মুমতাজ আহমেদ খানের অনুপ্রেরণা এবং তত্ত্বাবধানে আমরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। তার ফলেই এই চমকপ্রদ সাফল্য। মিদ্যাসাহেব আরও বলেন, প্রকৃত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশকে আরও বেশি চিকিৎসক উপহার দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন