পুবের কলম প্রতিবেদকঃ করোনা সংক্রমণ এখন আর কোনও নতুন ঘটনা নয়। রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক নেতা বিগত সময়ে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক বিধায়কের। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা চাবদানির কংগ্রেস বিধায়ক আধুল মান্নান। বর্ষীয়ান এই নেতার এমনিতেই কো-মর্বিডিটি রয়েছে। কিছুদিন আগেই হার্টের সমস্যা থাকায় অপারেশন করে পেসমেকার বসানো হয়েছিল। সম্প্রীতি তাঁর সুগারও ধরা পড়ে। তাই এই অবস্থায় অত্যধিক সতর্কতা জরুরি। এ দিন তাঁর রিপোর্ট পজেটিফ আসতেই কলকাতার ই-এম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি নার্সিহোমে ভর্তি হয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তাঁর বয়সের কথা মাথায় রেূে বাড়তি কেয়ার নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই দার্জিলিংয়ে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে বৈঠক করেন আবদুল মান্নান। এর পর ফিরে এসে কিডস্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলেই ছিলেন। হঠাৎ মঙ্গলবার তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর সিটিস্ক্যান ও করোনা টেস্ট করা হয়। তাতেই ফুসফুসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এবং করোনা টেস্টেও তাঁর পজেটিভ আসে। ইতিমধ্যেই তাঁর বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই কাজেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। কিছুদিন আগেই বয়সের কারণেই সতর্ক হওয়া সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত বাঁচানো যায়নি বিশিষ্ট অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। করোনা মুক্ত হলেও শেষপর্যন্ত তিনি অন্যান্য কো-মর্বিডিটি শিকার হয়ে মারা যান। এক্ষেত্রেও তেমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই আগে থেকেই সতর্ক চিকিৎসকরা।
এ দিকে আবদুল মান্নান যেদিন আক্রান্ত হলেন সেদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ছিলেন তিনি এর পর পাঁচবার পর পর টেস্ট হলেও প্রতিবারও তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। অবশেষে এ দিন করোনা মুক্ত হওয়ায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন