পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা ভোটের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি। সে কথা মাথায় রেখে নিজেদের রণনীতি ঠিক করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বাম-কংগ্রেস যেমন নিজেদের মধ্যে জোটের আলোচনা চালাচ্ছে, তেমনি বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের বাইরে থেকে ‘নেতা’ এনে প্রচারের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে। বসে নেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নামতে চলেছেন ময়দানে। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগকারী শুভেন্দু অধিকারীর গড় থেকেই জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ ডিসেম্বরেই হবে প্রথম জনসভা। আর তা মেদিনীপুর থেকেই শুরু করছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এমনই খবর। জানা গিয়েছে, আগামী মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা সফরের মধ্যে দিয়েই নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করবেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছুই বলেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারি। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকালেই দলের শীর্ষনেত্বত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের রণনীতি নিয়েও আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, হেভিওয়েট নেতাদের তিনি আরও সক্রিয় হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুব্রত বক্সিকে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। শনিবার মেদিনীপুরে পাড়ি দেন সুব্রত বক্সি। অন্যদিকে, এ দিনই মালদার শীর্ষনেতাদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করেন দলের যুব সভাপতি ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার মেদিনীপুরে গিয়ে জেলার ব্লক সভাপতি ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সুব্রত বক্সি। তিনি ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেছেন। সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের ৭ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসভা করবেন।
দলীয় সূত্রে খবর, কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েই প্রচারের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের ওপরেও গুরুত্ব দিতে বলেছেন সুপ্রিমো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন