পুবের কলম প্রতিবেদকঃজীবনের শেষ দিকটায় বড় হতাশায় ভুগতেন মারাদোনা। তাঁর মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল যে, তার মনোবিদ ঠিক করেছিলেন, মারাদোনাকে কিউবা পাঠাতে। যে দেশকে অসম্ভব ভালবাসতেন তিনি। যে দেশে থাকতেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রো। তাকে কিউবা পাঠানোর বন্দোবস্তও প্রায় হয়েই গিয়েছিল। ফিদেল কাস্ত্রোর ছেলে টনিও মারাদোনাকে তাদের দেশের আশার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।যাতে তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন। কিন্তু তাঁর আর কিউবা যাওয়া হল না। বিশেষ সূত্রের খবর, নিজের ৬০তম জন্মদিনে মারাদোনা চেয়েছিলেন, তার সমস্ত সন্তানরা একত্রিত হোক। নাতি-নাতনিসহ। কিন্তু সেটা হয়নি। আসলে মারাদোনার সন্তানরা তার দায়িত্ব সেভাবে নিতেন না।কিন্তু দায়িত্ববোধের গভীরে ঢুকতেন না। যার ফলে নিজের শেষ জন্মদিনে মারাদোনা ঝরঝর করে কেঁদে বলেছিলেন, 'আজ আমি আমার পরিবারকে খুব মিস করছি। মা, তুমি নিশ্চয়ই ওপর থেকে সব দেখছো। তুমি নিশ্চয়ই আমাকে নিয়ে গর্বিত।' নিজের জীবনের শেষ দিকে ব্যাক্তিগত আইনজীবীর শ্যালকের সঙ্গে থাকতেন মারাদোনা।তিনিই ছিলেন ফুটবল ঈশ্বরের একমাত্র কাছে মানুষ।ছিলেন তার অতি বিশ্বাসী রাঁধুনি (মোনোয়া)। সেই মোনোয়াই জানালেন মারাদোনার শেষ জন্মদিনের আক্ষেপের কথা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন