পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আগস্ট মাসে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেরো সার্ভের রিপোর্টে এমনই চমকে যাওয়ার মতো তথ্য মিলেছে। তাতে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন ৭ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ। বেশিরভাগই উপসর্গহীন।
সেরো সার্ভে হল অ্যান্টিবডি টেস্ট। রক্তের নমুনায় পরীক্ষা যদি দেখা যায় তাতে অ্যান্টিবডি আছে, তখন বোঝা যায় ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই অ্যান্টিবডি আসলে রোগ প্রতিরোধকারী একটি ক্ষমতা। শরীরে ভাইরাস ঢুকলেই তার প্রতিরোধে এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ভাইরাস কাদের শরীরে ঢুকেছে তা বোঝার মোক্ষম উপায় হয় অ্যান্টিবডি টেস্ট। সেটা জানার জন্যই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেরো সার্ভে শুরু করেছিল আইসিএমআর।
সেরো সার্ভের রিপোর্ট বলছে, বড় বড় শহরের বস্তি এলাকাগুলিতে সংক্রমণের হার বেশি। গ্রামের চেয়ে শহরেই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হিয়েছে। মুম্বইয়ের বস্তি এলাকায় প্রায় ৫৭.৪ শতাংশের মধ্যে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে।
দেশজুড়ে ৭০ শতাংশের বেশি কোভিড রোগীই উপসর্গহীন। অর্থাৎ ভাইরাস রয়েছে অথচ শরীরে কোনও রোগের লক্ষণ নেই। আইসিএমআর বলছে, প্রতি দশ জনের মধ্যে ৯ জনই উপসর্গহীন। ভাইরাস তাঁদের শরীরে ঢুকে বাসা বেঁধেছিল সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। অথচ অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় জানা গেল, আগস্ট মাসে দেশের জনসংখ্যার প্রায় সাত শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণ দেখে বোঝা গিয়েছে তাঁরা কখনও না কখনও আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু জটিল রোগ হয়নি। মৃদু সংক্রমণের পরেই তা সেরে যায়।
এ দিকে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার লড়াইয়ে বড়সড় ধাক্কা। যে ভ্যাকসিনের দিকে গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তাকিয়ে ছিলেন, সেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নতুন করে শুরু হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন সংস্থার সিইও। অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফে স্বীকার করা হয়েছে, তাঁদের টিকা তৈরি এবং ট্রায়ালের পদ্ধতিতে ভুল হয়েছিল। যার জেরে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে তাঁরা যতটা আশাবাদী ছিলেন, এটি অনেক ক্ষেত্রে ততটা কার্যকরী হয়নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন