পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বলপূর্বক ধর্মান্তরণ রোধে আইন এনেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। অনেকেরই বক্তব্য ছিল, আসলে ভালোবেসে মুসলিমদের যেভাবে হিন্দু তরুণীরা বিয়ে করছে ও ইসলাম কবুল করছে তা আটকাতে এই আইন এনেছে যোগী সরকার। সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে, এই আইনে মুসলিমদের হেনস্থা ও নির্যাতন করা। ওয়াকিফহাল মহলের এই আশঙ্কার কথাই শোনা গেল রাজ্যের সমাজবাদী পার্টির (সপা) সাংসদ এস টি হাসানের গলায়। তিনি বলেন, যোগী সরকারের এই নয়া ধর্মান্তরণ আইন থেকে যেন সতর্ক থাকে মুসলিমরা। না হলে মুসলিমদের এই আইনে নির্যাতনের শিকার হতে হবে। এই আইন থেকে সতর্ক থাকলে মুসলিমরা নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবে। কীভাবে এই আইন থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবে মুসলিমরা সেই পরামর্শও দিয়েছেন সপা সাংসদ। সাংসদের কথায়, ‘আমি মুসলিম যুবকদের পরামর্শ দেব হিন্দু যুবতীদের তারা যেন বোন হিসেবে দেখে। তারা যেন হিন্দু তরুণীদের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়। কারণ, এখন একটি নতুন আইন কার্যকরী হয়েছে। যেখানে তাদের উপর অমানসিক নির্যাতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মুসলিম যুবাদের বলব প্রেমের প্রলোভন থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য।’ সাংসদ আরও বলেন, ‘লাভ জিহাদ’ হচ্ছে একটি রাজনৈতিক কৌশল। এমন অনেক নজির রয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে হিন্দু মেয়েরা সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছাতেই মুসলিমদের বিয়ে করেছে। কিন্তু পরে যখন এই বিয়ের বিরুদ্ধে তাদের উপর সামাজিক চাপ তৈরি করা হয়েছে, তখন দেখা গিয়েছে নিজেদের মত বদলে হিন্দু তরুণীরা দাবি করতে শুরু করে তাদের নাকি ঠকানো হয়েছে। ফলে তখন বিপাকে পড়তে নিরীহ মুসলিম যুবকদের। আর তাই এখন নতুন আইন হওয়ার ফলে মুসলিমদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। না হলে তাদের বিপদ আরও বাড়বে। তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন পর্যন্ত করা হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন