প্রদীপ মজুমদার: চায়ের পাশাপাশি কফিও এখন ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও লাভজনক বাগিচা ফসল হয়ে উঠেছে। কফি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া এমনটাই মনে করে। কফি বোর্ডের ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অসীম কর জানান, ত্রিপুুরায় বর্তমানে মোট ৪৯৮টি কফি বাগান রয়েছে। যেখানে মোট জমির পরিমাণ ৪০০ হেক্টর। এগুলো সবই ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং মালিকরা সবাই ক্ষুদ্র কফি চাষি। কারও এক হেক্টর, কারওবা তার থেকে সামান্য বেশি জমিতে কফি বাগান রয়েছে। কফিচাষিদের বাগান তৈরি থেকে গাছ লাগানো,পরিচর্যা-,সব ধরনের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেয় ভারতীয় কফি বোর্ডই।
বর্তমানে ত্রিপুরায় ২০০ হেক্টর জমি থেকে কফি উৎপাদন হচ্ছে। ত্রিপুরা উত্তর জেলার জাম্পুই পাহাড় ও দক্ষিণ জেলার র*পাইছড়ি এলাকায় বাগানগুলো থেকে মূলত দুই ধরনের কফি উৎপন্ন হচ্ছে। একটি অ্যারাভিকা এবং অন্য রোভাস্টা। অ্যারাভিকা মূলত উঁচু ও অপেক্ষাকৃত শীতল জায়গায় চাষ হয়। জাম্পুই পাহাড় এই জাতের কফি উৎপাদনে উপযুক্ত স্থান। আর রাজ্যের বাকি এলাকায় চাষ হচ্ছে রোভাস্টা জাতের কফির।
ভারতীয় কফিবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সবমিলিয়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কফি উৎপন্ন হয়েছে ত্রিপুরার বাগানগুলিতে। উৎপাদিত কফি অন্যান্য রাজ্যে এমনকী বিদেশেও যাচ্ছে। দক্ষিণ জেলার উৎপাদিত কফি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ইংল্যান্ডেও পাড়ি দিচ্ছে। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তিনি প্রতি বছর ত্রিপুরায় উৎপন্ন কফি কিনে নিচ্ছেন। তবে সমস্যা একটাই– ত্রিপুরায় দিন-দিন কফি উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও এখনও কোনও প্রসেসিং কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়নি। এ দিকে রাজ্য সরকারেরও কোনও বিশেষ নজর আছে বলে কোনও কফি চাষিই মনে করতে পারছেন না। কফি বোর্ডের এক কর্তা বলেন, ত্রিপুরা সরকার যদি উদ্যোগ নিয়ে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলত,তাহলে একদিকে যেমন কফি চাষিরা উপকৃত হতেন, তেমনি রাজ্যের একটি অর্থকরি চাষের দরজাও খুলে যেত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন