দেবশ্রী মজুমদার, শান্তি নিকেতন: পরিদর্শনের পর রবীন্দ্রনাথ ভবনে ভিসিটর্স বুকে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁর সশ্রদ্ধ মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এযাবৎ এমন ঘটনা ঘটেনি, যে মন্তব্য সহ স্বাক্ষর করার সময় কেউ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আসবাব ব্যবহার করেছেন। রবিবার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সেই অঘটনটি ঘটিয়েছেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ আশ্রমিক থেকে পড়ুয়ারা।
জানা গেছে, রবিবার রবীন্দ্রভবন পরিদর্শনের পর ভিজিটর্স বুকে মন্তব্য করে সই করার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যবহৃত আসবাব ব্যবহার করেন। আর তাতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। জানা গেছে, এর আগে নরসিমা রাওয়ের সময় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমস্ত কিছু পুলিশ কুকুর দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। সেই সময় পুলিশ কুকুর রবীন্দ্র ব্যবহৃত আসবাবপত্র শুঁকে দেখেন। আর তাতেই সেই সময় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। সেটা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষতিয়ে দেখতে। এবার তো তাকেও ছাড়িয়ে গেল।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের জায়গায় কি বিবেকানন্দ সরণী হয়? বিশ্ব ভারতীতে কোন মহাপুরুষের নামে সরণী করার নিয়ম নেই। পল্লীর নামেই রাস্তা হয়। রামকৃষ্ণ মিশনে কি রবীন্দ্রনাথের নামে রাস্তা হয়। একটা রীতি বলে কথা আছে। উপাচার্যের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে বলে তো সবার ঘটেনি। এতদিন বিশ্ব ভারতীতে রাজনীতি করি নি। এবার ডাইরেক্ট রাজনীতি করবো। বিশ্ব ভারতীতে গিয়ে ফ্ল্যাগ টাঙিয়ে দেব। উনি যদি ভাবেন, যা মন তাই করবেন, মানবো না।
এরপর অনুব্রত বলেন, পাল্টা র্যালি কিনা বলতে পারবোনা। তবে একটার মধ্যে র্যালি শুরু হবে। আমরা তো ঝাড়খণ্ড থেকে লোক আনবো না। শুধুমাত্র বোলপুর মহকুমার আড়াই লাখ লোক থাকবে। ডাকবাংলো থেকে চৌমাথা পর্যন্ত র্যালি হবে। ২৮ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।২৯ তারিখ র্যালি করবেন। ডাকবাংলো থেকে চৌমাথা পর্যন্ত। অমিত শাহের সমস্ত মিথ্যাচারের জবাব দেবেন। চৌমাথায় একটা ডায়াস থাকবে। সেখান থেকে বক্তব্য রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ তারিখ বঙ্গধ্বনি যাত্রায় কোন গ্রামে যেতে পারেন। এদিন বাসুদেব দাস বাউলের বাড়িতে অমিত শাহের খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, ওসব দিয়ে থুয়ে হয়। কিছু দিলেই আপনিও খেতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের র্যালিতে ওই বাউলকে নামাতেও পারি। হাজার বাউলের মধ্যে উনিও থাকতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন