পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এই সরকারের আমলে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা আরও উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের আমলে বেড়েছে সাব স্টেশনের সংখ্যা। বাংলায় লো-ভোল্টেজ এখন অতীত। ২৩ জেলার ১০০ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ১৩০ মেগাওয়াট।’ পাশাপাশি সমালোচনার সুরে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার রেল ও ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। বেকারত্ব কমিয়েছেন ৮০শতাংশ। এ ছাড়া নতুন করে যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে তাতে হায়দরাবাদকেও ছাড়িয়ে দ্রুত ছাপিয়ে যাবে বাংলা।’
এদিন বাম আমলের তুলনায় রাজ্য এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে অনেক স্বাবলম্বী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ, সে কথা বললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে জানালেন, ১০০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুতের কথা। আগে যেখানে রাজ্যে ৩০০ বেশি লো ‘ভোল্টেজ পকেট’ ছিল, এখন সেখানে সেই সংখ্যাটা ২০তে এসে ঠেকেছে। সৌরবিদ্যুতেও বাংলা অনেক এগিয়ে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। দাদনপাত্রবাড়ে অচিরেই যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু হতে চলেছে, তার সৌজন্যে গোটা পূর্বাঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশ ভাল জায়গায় থাকবে বাংলা, এ কথাও মনে করিয়ে দেন।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘটনা সূত্রে তিনি বলেন, অনেকেই প্রকল্পের রূপায়ণে সরকারের কাছে টাকা চেয়ে চিঠি লেখেন। এটাও তেমনই একটি চিঠি। এটার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। কোনও ভাবে এটি বাইরে চলে এসেছে। এটা নিয়ে আলোচনা হবে দলে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়েও তাঁর দিকে প্রশ্ন ধেয়ে আসে। শোভনদেব বলেন, ’এটা গণতান্ত্রিক দল। এখানে কারও কিছু বলার থাকলে তিনি তা বলতে পারেন। রাজীব তৃণমূলেই আছে।’ এ ছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ভোটরাজনীতির সমালোচনা করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্টসিটি ভাবনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মার্টসিটি কাম গ্রিনসিটি ভাবনার আলোচনা করেন। আইটি সেক্টরের দিক থেকেও বাংলা যে হায়দরাবাদ বা বেঙ্গালুরুকে ছাপিয়ে যাবে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন