পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রয়াত হলেন একদা প্রাক্তন সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ৮৮ বছর বয়সে রবিবার ভোরে মথুরাপুরের ৫ বারের সাংসদের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারকে জানিয়েছেন সমবেদনা।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোক বার্তায় লেখেন, ‘দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাধিকা রঞ্জন প্রামানিক তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় মানুষের সেবা করে গেছেন। পরিণত বয়সে প্রথাগত বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে তিনি মা মাটি মানুষের আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করে বৃহত্তর গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছিলেন। সেই সূত্রে তিনি আমার ঘনিষ্ট দলীয় সহকর্মী ছিলেন। তিনি মগরাহাট (পূর্ব) কেন্দ্র থেকে বিধায়ক ও পরবর্তীতে মথুরাপুর থেকে ৫ বার সাংসদ নির্বাচিত হন। রাধিকা দা ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং সকলের প্রিয় মানুষ। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিক রাধিকা রঞ্জন প্রামানিকের মৃত্যু রাজনীতি জগতে এক বড় ক্ষতি। আমি রাধিকা দার পরিবারপরিজন ও অনুরাগীদের আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গণিতের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান রাধিকারঞ্জনের দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে অবশ্য তাঁকে ঘিরে বিতর্কও হয়েছে। মথুরাপুর লোকসভা থেকে ১৯৮৯ থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাম প্রার্থী হিসেবে টানা পাঁচ বার জিতেছেন রাধিকারঞ্জন। কিন্তু ২০০৩ সালে সিপিএম থেকে বহিস্কৃত হন এবং পরের বছর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০০৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে মথুরাপুর থেকে দাঁড়ালেও জিততে পারেননি। হেরে যান বাম প্রার্থী বাসুদেব বর্মনের কাছে। তার পরে আর টিকিট পাননি। সাংসদ হওয়ার আগে দু’দফায় পর পর তিন বার করে মোট ছ’বার মগরাহাট পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন রাধিকারঞ্জন। শেষ জীবনে অবশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তেমন কোনও সম্পর্ক ছিল না রাধিকারঞ্জনের। থাকতেন সল্টলেকে। তৃণমূলের দলীয় কাজকর্মের তেমন খোঁজখবর রাখতেন না বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন