পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘সন্তানের ভালো-মন্দ বিচার করার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। কোনও আদালতই তা বিচার করতে পারে না।’ মঙ্গলবার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিভাবকদের একথা মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বছর পাঁচেকের এক মাত্র সন্তানকে নিজের হেফাজতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবাসী বাবা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে একথাই জানালেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদনকারী বাবা কলকাতার বাসিন্দা। তিনি কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন। তাঁর স্ত্রী রৌরকেল্লার বাসিন্দা। বিয়ের পর তিনি স্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকাতেই থাকছিলেন। তাদের একমাত্র সন্তানের জন্ম হয় সেখানেই। ফলে জন্মসূত্রে ওই শিশুটি আমেরিকার নাগরিক। কিন্তু, সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মা বেশ কয়েকমাস ধরেই রৌরকেল্লায় রয়েছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় ফিরতে চাইছেন না।
অন্যদিকে, সন্তানকে নিজের কাছে রেখে সেখানেই বড় করতে চাইছেন বাবা। কিন্তু, তাতে আপত্তি জানায় মা। এই পরিস্থিতিতে সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। শুনানির শেষে হাইকোর্ট মানবিক হয়ে নির্দেশ দিয়েছে যে বাবা সপ্তাহে একবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০-৩০ মিনিট ধরে সন্তানকে দেখতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অসংখ্য অভিভাবক। তাই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করে অভিভাবকরা যাতে নিজেদের সন্তানের ভবিষতের কথা ভাবেন সেকথা আরও একবার এদিন মনে করিয়ে দেয় হাইকোর্ট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন