পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলমান কৃষকদের আন্দোলনের মধ্যে হরিয়ানার সাতটি শহরে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর সোনিপত, পঞ্চকুলা ও আম্বালা, রেওয়াড়ি, সাম্পলা, ধারুহেরা ও উকলানায় পৌর নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফল ঘোষণা হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এই নির্বাচন হরিয়ানার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণ করে বলে মনে করা
হচ্ছে। এ কারণেই বিরোধী বিভিন্ন দল থেকে ক্ষমতাসীন দল সকলেই রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে
মাঠে নেমেছে।
গোটা দেশের চোখ কার্যত হরিয়ানার দিকে নিবদ্ধ, কারণ কৃষক আন্দোলনের সরাসরি রাজনৈতিক
প্রভাব রাজ্যের রাজনীতিতে পড়ছে। এরফলে হরিয়ানায় ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং জেজেপি জোট
সরকারের ভবিষ্যৎ বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একইসাথে, কংগ্রেস এবং আইএনএলডি আসন্ন নির্বাচনের
মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মহড়ায় রয়েছে। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা
কংগ্রেস এবং বিজেপি-জেজেপি জোটের মধ্যে বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষক আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব আম্বালা, পঞ্চকুলা ও সোনিপতসহ
অন্যত্র পড়তে পারে। মঙ্গলবার অম্বালায় পুর নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে হরিয়ানার
মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাঁর কনভয় আটকে
কালো পতাকা দেখান বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে থাকা গাড়ির
উপরেই লাঠির আঘাত করেন। পঞ্জাব-হরিয়ানায় বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতাদের বিরোধিতার
মুখে পড়তে হচ্ছে। কৃষকরা তাঁদের বয়কটেরও
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোনিপত এবং সাম্পলাকে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুদার দুর্গ হিসেবে মনে করা হয়। রেওয়াড়িকে রাও
ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের দুর্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়,
যিনি ২০১৪ লোকসভার ঠিক আগে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
রাও ইন্দ্রজিৎ সিং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারে প্রতিমন্ত্রী।
হরিয়ানার সাতটি শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নাগরিক নির্বাচনকে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুদার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতার লড়াই হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সে জন্য উভয় নেতাই তাদের প্রার্থীদের জয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন।
বিজেপি এগিয়ে যাবে , কারন যারা বিজেপি বিরোধী তারা তো ভোট দিতে পারছে না , আন্দলন করছে
উত্তর দিনমুছুন