পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সোমবার বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, ‘ওকে দশ বছর ধরে ভালোবেসেছি। আমি যখন বাঁকুড়ায় ঢুকতে পারিনি তখন ওই বলেছিল, পুলিশ কীভাবে অত্যাচার করেছে, বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিয়েছে, ২৬ দিন অন্ধকারে থাকতে হয়েছে, রোজ মৃত্যুর ভয় নিয়ে কাটাতে হয়েছে। আমার আশঙ্কা, ওকে মেরে দিতে পারে। তৃণমূলকে বলব ওর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।’ এ যেন কাকতালীয়। যেন সেই কথামতোই কাজ। মঙ্গলবারই নিরাপত্তা পেয়ে গেলেন সুজাতা।
সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল নবান্ন। তাঁকে তিন জন নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে জেলা পুলিশ। তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, একুশের নির্বাচনে সুজাতাকে বাঁকুড়ার কোনও তপশিলি জাতি সংরক্ষিত আসন থেকে প্রার্থীও করতে পারে দল। বাঁকুড়া জেলায় ১২টি বিধানসভা আসন রয়েছে। এর মধ্যে চারটি তফসিলি জাতির সংরক্ষিত। যে বিষ্ণপুর বিধানসভা আসন থেকে সৌমিত্র প্রথমে বিধায়ক হয়েছিলেন সেটিও তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন নয়।
চারটি এসসি সিট হল শালতোড়া, কোতলপুর, সোনামুখী ও ইন্দাস। এরই মধ্যে বাঁকুড়া জেলার রাজনীতির একাংশের মধ্যে জল্পনা হল সোনামুখী থেকে প্রার্থী হতে পারেন সুজাতা। সুজাতার তৃণমূলে যোগদান আর তা নিয়ে সৌমিত্র ও তাঁর মধ্যে সংবাদমাধ্যমে বাইট মারফত বার্তা গত চব্বিশ ঘণ্টা ধরে প্রচুর টিআরপি টানছে। সোশ্যাল মিডিয়াও গরম। সৌমিত্র তাঁকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন তো সুজাতা সৌমিত্র বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন