পুবের কলম প্রতিবেদক: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পেলেন না শিক্ষক। উলটে নিয়োগের জন্য ঘুস চাওয়ার অভিযোগ উঠল। আর তাতেই বিপাকে পড়লেন মাদ্রাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং প্রধানশিক্ষক। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর দিনাজপুরের খবরগাঁও রাহাতপুর হাইমাদ্রাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে পদ থেকে সরিয়ে নতুন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
এই মামলায় সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী শুভ্রাংশু পাণ্ডা। তিনি জানান, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুহাম্মদ জামির। উর্দু বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে তাঁকে ওই মাদ্রাসায় নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর সুপারিশ করেছিল কমিশন। সেইমতোই নিয়োগ পেতে ওই মাদ্রাসায় হাজিরও হয়েছিলেন আবেদনকারী শিক্ষক। কিন্তু সহকারী শিক্ষককে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগপত্র দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও প্রধান শিক্ষক। শর্ত হিসেবে নিয়োগ পত্র দেওয়ার জন্য তাঁরা ওই শিক্ষকের কাছে আড়াই লক্ষ টাকা ঘুস চায় বলে অভিযোগ। পরে নিয়োগের দাবিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট মাদ্রাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষককে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। আর সেইসঙ্গে, গতবছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় ওই শিক্ষককে উপস্থিত হতে বলেছে আদালত। হাইকোর্টের এই নির্দেশের ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ তা নিয়ে রাজ্যের মাদ্রাসা এডুকেশনের ডিরেক্টরকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্দিষ্ট করেছে আদালত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন