পুবের কলম প্রতিবেদক: বীরভূমের মল্লারপুরে লকআপের মধ্যে নাবলকের অস্বাভাবিক মৃতু্যর ঘটনায় তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা জানতে চাইল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, নাবলকের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল রাজ্যের উচ্চ আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর মল্লারপুর থানার টয়লেটে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই নাবালকের। পুলিশের তরফে জানানো হয় যে ওই নাবালক গলায় তার জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপরেই জেলার পুলিশ সুপার এনিয়ে একটি সুয়োমটো মামলা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের গাফিলতি প্রমাণ না হলেও পরে পরে ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় পুলিশের যে গাফিলতি ছিল রাজ্যের তরফে তা স্বীকার করে নেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। সোমবার মামলার শুনানিতে তিনি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানার ওসি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেই হাইকোর্ট রাজ্যের পুলিশ থানাগুলিতে সিসিটিভি এবং শিশুবান্ধব কর্নার রয়েছে কি না জানতে চেয়েছিল। এদিন মামলার শুনানিতে ওই নাবালকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা কেমন সে সম্পর্কে জানতে চায়। যদিও সেই সম্পর্কিত কোনও তথ্য এজির কাছে না থাকায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের আদালতে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী শুনানিতে ওই শিশুর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির ডিভিশ বেঞ্চ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন