পুবের কলম প্রতিবেদকঃকরোনাকালেও বিশাল অংকের প্রতিরক্ষা বাজেট পাস করল আমেরিকা। সে দেশের কংগ্রেস বা পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ১০০ আসনের সেনেটে এই বরাদ্দের পক্ষে ভোট পড়েছে ৮৪ এবং বিপক্ষে মাত্র ১৩। বাজেট বিল পাস করাতে প্রয়োজন ছিল দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন। কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি ভোট পাওয়ায় এতে আর ভোট দিতে পারেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই বিপুল বাজেট বরাদ্দে সেনাবাহিনীর বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং নিত্যনতুন সামরিক অস্ত্রসম্ভার জোগানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জার্মানি, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও সেই প্রক্রিয়া আরও জটিল-কঠিন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সেনেটে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা একসুতোয় ঝুললেও বিলটি যে ব্যাপক ভোটে পাস হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাট পার্টির সেনেটররাও দু-হাত তুলে সমর্থন দিয়েছেন। তাই অনেকের অনুমান, বাইডেন সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বেশি জোর দেবে। হয়ত সেই নীতি যুদ্ধবাজ আমেরিকাকে পুনরায় অগ্রাধিকার দিতে পারে। এমনিতেই প্রাক্তন সেনাকর্তা লয়েড অস্টিনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা ট্রাম্প পরবর্তী সরকারের সামরিক পথে হাঁটার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন দেশে আমেরিকার সামরিক তৎপরতার জন্য ২০২১ সালে ৯০০ কোটি ডলার বরাদ্দ রয়েছে এই প্রতিরক্ষা বাজেটে।
একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য সামরিক সহায়তার ব্যবস্থাও রয়েছে এই বাজেটে। তবে ইসরাইলের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,১০০ কোটি ডলার। ট্রাম্প সরকারের বক্তব্য, পূর্বতন বারাক ওবামা সরকার ইসরাইলের জন্য ১০ বছর মেয়াদে এই প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। এদিকে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা ৪,৫০০ থেকে কমিয়ে ২,৫০০ হাজার করার কথাও বলা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প বিদায় নেবেন। আর কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহারের দিন স্থির হয়েছে ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু ওই সময়সীমা আদৌ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকার পর প্রতিরক্ষা বাজেটে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিনের বরাদ্দ ২৬১ বিলিয়ন ডলার। তারপরেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন