কৌশিক সালুই,বীরভূম,৯০ডিসেম্বর: ১০ মাসের শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো স্বামীর। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর বুধবার বীরভূমের সিউড়ি আদালতের বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন
।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে অপরাধী স্বামী হলেন কাজী জামাল উদ্দিন বাড়ি নানুর থানার নওদা গ্রামে। আর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে স্ত্রী হালিমা বিবি এবং ১০ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরে দেওয়ার। ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই মৃত গৃহবধূর বাবার বাড়ি তে খবর পায় আগুনে পুড়ে ওই দুজন মারা গেছে। গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন স্বামী কামাল উদ্দিন সহ শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে নানুর থানায় স্ত্রী ও সন্তানকে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ২৮ বছর ধরে মামলা চলার পর সিউড়ি আদালতের বিচারক ধরণীদেব অধিকারী বৃহস্পতিবার স্বামীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন এবং ২০১ ধারায় ৩ বছর ১০ হাজার টাকা জরিমানা সাজা ঘোষণা করেন।
১৯৯০ সালের ২৭ই জুলাই জামাল উদ্দিন এর সঙ্গে বিয়ে হয় তৎকালীন বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট এর বাসিন্দা হালিমা বিবির। মৃত গৃহবধূর বাবার বাড়ির অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণ্যের দাবীতে হালিমাকে নিয়মিত মারধর ও শারীরিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের প্রায় দু'বছর পর তাকে শিশু সন্তানসহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলে স্বামী। ঘটনার পর দাদা হাফিজউদ্দিন নানুর থানা সেই অভিযোগ দায়ের করেন।
সিউড়ি আদালতের অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী বলেন," বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বামীসহ অতিরিক্ত পনের দাবিতে গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এর মধ্যেই শিশুসন্তানসহ গৃহবধূকে পুড়িয়ে দিয়ে মেরে ফেলে। সেই ঘটনায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাবাস এর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক"।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন