পুবের কলম প্রতিবেদকঃবজরং দল,বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো ধর্মান্ধ দলগুলি একাধিকবার একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করে বলে এসেছে, দু’য়ের বেশি সন্তানের জন্ম দিলে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত। কেউ কেউ বলেছিলেন, বেশি সন্তান নিলে সরকারি সুবিধা কেড়ে নেওয়া উচিত। আর বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ তো আরও কয়েক কদম এগিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, মুসলিমদের জনসংখ্যা এত বাড়ছে যে তাদের দাফন করার মতো আর জায়গা পাওয়া যাবে না। তাই মুসলিমদেরও এবার মৃতদেহ দাহ করার পথে হাঁটা উচিত। এভাবে বারেবারে দেশের জনসংখা বৃদ্ধি নিয়ে গেরুয়া শিবির নিশানা করে গিয়েছে মুসলিমদের। যদিও একাধিক সরকারি তথ্যই বলছে, মুসলিমদের জনসংখ্যা কমছে। আর এবার দেশের জনসংখ্যার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা দেশের কাউকে পরিবার পরিকল্পনা করার জন্য বাধ্য করতে পারে না। তারা এর বিরুদ্ধে। যার মর্মার্থ দাঁড়ায়, কাউকে কম সন্তান নেওয়ার জন্য বাধ্য করতে চায় না কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে এক হলফানামা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, দেশে পরিবার কল্যাণ যোজনা ঐচ্ছিক। যেখানে দম্পতিরা কোনও বাধ্যবাধকতা ছাড়াই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের পরিবারের আকার নির্ধারণ করতে পারে এবং উপযুক্তভাবে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে সক্ষম করে তোলে। উল্লেখ্য, দেশের জনসংখ্যা কমাতে দু’য়ের বেশি সন্তান নেওয়া যাবে না এই মর্মে একটি আবেদন জমা পড়েছিল হাইকোর্টে। কিন্তু হাইকোর্ট তা খারিজ করে। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন সুপ্রিম কোর্টে এমনটা জানিয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, জনস্বাস্থ্য হচ্ছে রাজ্যের বিষয়। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে রাজ্য সরকারগুলিকে উপযুক্ত ও টেকসই উপায়ে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারে নেতৃত্ব দিতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন