পুবের কলম প্রতিবেদকঃটিআরপি জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রিপাবলিক টিভির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিকাশ খানচন্দানিকে। বুধবার মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেডের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে জামিন দিল। সেশন আদালত যে তড়িঘড়ি জামিনের ব্যবস্থা করল খানচন্দানির তা ব্যতিক্রমী বলে মনে করছেন অনেকে। অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির একদিন আগে মুম্বই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। খানচন্দানির আবেদন যখন বিচারাধীন তখন কেন তাঁকে একদিন আগে গ্রেফতার করা হল বলে বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর শিশির হীরেকে। প্রসঙ্গত, রিপাবলিক টিভির ডিস্ট্রিবিউশন হেড ঘনশ্যাম সিংকে জেরা করার সময় টিআরপি জালিয়াতিতে খানচন্দানির ভূমিকার কথা জানা গিয়েছিল। ঘনশ্যামকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছে, ‘আমাদের কাছে খানচন্দানির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে এবং ঘনশ্যাম সিংয়ের সঙ্গে তাঁর যোগের প্রমাণ মিলেছে।’ তিনি আরও বলেছেন, লজিক্যাল চ্যানেল নম্বর বা এলসিএন নিয়ে আলোচনার জন্য যে গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিল, সেখানে ছিলেন খানচন্দানি। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে অপরাধ শাখা উল্লেখ করেছে যে, চ্যানেলের আধিকারিকরা যোগাযোগ করেছিলেন কেবল অপারেটরদের সঙ্গে এবং ডুয়াল এলসিএন ব্যবহার করেছিলেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নিউজ চ্যানেল ছাড়াও ‘কিডস চ্যানেলে’ও এই সংস্থার দুই নিউজ চ্যানেল দেখা যেত দুই জায়গায়। প্রসঙ্গত, মুম্বই পুলিশের কাছে হানসা অফিসিয়াল অভিযোগ দায়ের করার পর টিআরপি জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আসে। এরপর ফক্ত মারাঠি ও বক্স সিনেমার মালিককে গ্রেফতার করা হয়। যাইহোক, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চার্জ। এর সাজা সর্বোচ্চ ১০ বছর। এরই মধ্যে মুম্বই পুলিশ মঙ্গলবার আশ্বাস দিয়েছে যে, রিপাবলিক টিভির সিএফও এস সুন্দরমকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা হবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন