নয়াদিল্লি,৪ নভেম্বরঃ দেশের শীর্ষ ভ্যাকসিন বৈজ্ঞানিক ডা. গগনদীপ কাং-এর মতে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের দেশ এখনও প্রস্তুত নয়। তিনি বলেন, কোনও স্তরেই এখনও সেভাবে পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি সরকার। শুধু সরকারি পরিকাঠামোর ওপর ভরসায় ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ভারত থেকে রয়্যাল সোসাইটির (লন্ডন) ফেলো হিসেবে নির্বাচিত ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর ডা. কাং-এর একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য দেন।
ডা. কাং বলেন, দেশ এখনও ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। সরকারি প্রস্তুতি এখনও প্রাথমিক স্তরে। জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন অনুমোদনের পরই পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, আমরা এখনও যদি টিকাদান শুরু করি তাহলে এখন যে কর্মসূচি চলছে তার কী হবে? সমস্ত কর্মচারীকে আমরা কোভিড-১৯’এর জন্য কোল্ড চেইন সরবরাহ সংরক্ষণ করে রেখেছি, কিন্তু বর্তমানে যে কর্মসূচি চলছে তার কী হবে? এটা নিয়ে কোনও কথা নেই।
কী ধরনের প্রস্তুতি ভ্যাকসিনেশনের জন্য জরুরি? এর উত্তরে কাং বলেন, ভ্যাকসিনেশনের জন্য অনেক ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন। টিকা দিলে তার বর্জ্য কী করা হবে সে সম্পর্কেও সুনিশ্চিত হতে হবে। এ ব্যাপারে স্পষ্টতা এখনও নেই। ভ্যাকসিনের পরবর্তীতে পটভূমির ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ আজ যদি এক লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাহলে তার মনিটরিং খুবই জরুরি। কারণ ভ্যাকসিন দেওয়ার পর কারো যদি সর্দি-কাশি হয় বা স্ট্রোক হয়ে যায়, অথবা ক্যানসার হয় তাহলে এরজন্য কি ভ্যাকসিনকে দায়ী করা হবে? ভ্যাকসিন গ্রহিতারা তো ভাববেন ভ্যাকসিনের জন্যই এমনটা হয়েছে। উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন, চেন্নাইয়ে কোভিশিল্ডের ট্রায়ালের সময় যে স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন তা কিন্তু ভ্যাকসিনের জন্য নয়। এরসঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনও সম্পর্কই নেই। হতে পারে কোম্পানি যা বলছে সেটা ঠিক। তবে তা অনুসন্ধান সাপেক্ষ। অর্থাৎ তদন্তের পরই বলা যাবে কি হয়েছে এবং কেন হয়েছে। এরজন্য পরিকাঠামো প্রয়োজন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন