বিশেষ প্রতিবেদনঃ মাসখানেক আগে রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে বসেছেন মমতাজ সংগঘমিতা।রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও অধিকার নিয়ে নানান কথা বললেন পুবের কলমকে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আবদুল ওদুদ।
আপনি বোধহয় প্রথম একজন মহিলা,যিনি পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন! এ নিয়ে আপনি কী বলবেন?
ঠিকই বলেছেন। এর কৃতিত্ব আমার নয়, এটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছেন। তিনি পঞ্চায়েত স্তর থেকেই মেয়েদের তুলে এনে এসেছেন। মেয়েরা যাতে পিছিয়ে না থাকে।মুখ্যমন্ত্রী আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মহিলা হিসাবে আমি প্রথম তার জন্য গর্ববোধ করছি। আর এই গর্ব মমতা ব্যানার্জির জন্য।
কীভাবে কাজ করতে চান?
আপনারা হয়তো জানেন, সংখ্যালঘু কমিশন সংখ্যালঘু দফতর নয়। তবে সংখ্যালঘু দফতরের যে সমস্ত কাজগুলি হয়, সেগুলি সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তার তদারকি করা। আমি মূলত সেই কাজগুলি দেূছি। আগামীতেও সেই কাজগুলি দেূব। সংখ্যালঘু দফতরের কাজগুলির পরিষেবা সঠিকভাবে পচ্ছে কি না।
আবার কেউ যদি আমাদের কাছে বৈষম্য নিয়ে অভিযোগ করে সে সমস্যায় সঠিক জায়গা বলে দেওয়া যাতে অভিযোগকারী তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। মানুষ ঐক্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা যাতে পায় তার তদারকি করা। নারী পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে অনেকে আসেন। তাদের উদ্ধার করার ব্যাপারে স্থানীয় থানাকে হস্তক্ষেপ করা। নারী, শিশুপাচার আরও কমিয়ে আনার জন্য কমিশন নানাভাবে কাজ করে।
নতুন কোন পরিকল্পনা আছে?
আমরা কী কী করতে পারি, সেই সংক্রান্ত কিছু রুল রয়েছে। আমি দেখছি সমস্ত কাজই করে কমিশন। কিন্তু সাহিত্যে এবং রাজনীতিতে সংখ্যালঘু অবস্থান সম্পর্কে কোনও গবেষণা হয়নি বর্তমান সময়ে। কমিশন চেষ্টা করছে, ফান্ড পেলে এই কাজটি করবে।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে কাজের আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা বলুন।
আমি সাংসদ ছিলাম। আমার ক্ষমতা অনুযায়ী রাস্তাঘাট,ভবন,পানীয়জল,বিদ্যুৎ,স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করেছি। আমি সকলের জন্য করেছি। তবে বর্ধমানের পিছিয়েপড়া এলাকার মধ্যে, তপশিলি ও সংখ্যালঘুদের কাজে একটু বেশি গুরুত্ব দেয়োর চেষ্টা করেছি।
মুসলিম ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিয়ে কোনও বিশেষ উদ্যোগ?
সবে জয়েন করেছি। তার মধ্যে অনেক ছুটি ছিল। তেমন গুছিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে কমিশনের অধীনে পড়ে, মুসলিম ছাড়াও শিখ,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান,জৈন,পার্সি। এই সম্প্রদায়ের উন্নয়নে আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
সংখ্যালঘু দিবস প্রসঙ্গে?
প্রতিবছর সংখ্যালঘু কমিশন ১৮ ডিসেম্বর সংখ্যালঘু দিবস পালন করে। এ বছরও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছর কমিশনের দফতরের হল ঘরে একটু ছোট করে সংখ্যালঘু দিবস উদ্যাপন হবে। তবে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানও হবে। অনেকে ইউটিউব,ফেসবুক,টু্ইটারে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। এ বছর বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন,সাংসদ নাদিমুল হক,প্রাক্তন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান-সহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন